বগুড়া নিউজ ২৪ঃ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের জানাজায় বাগদাদে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। কালো পোশাক পরে ও ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (পিএমএফ) পতাকা হাতে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন তারা। খবর রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের
শোকাহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্লোগানও দেন। কেউ কেউ বলেন, ওহ সোলাইমানি, ওহ আবু মাহদি, তোমাদের রক্ত বৃথা যাবে না।’ এ সময় বেজে ওঠে সেনার বিদায়ের করুণ সুর। জানাজায় ইরাকের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ ও ঘনিষ্ঠ ইরানি মিত্রদের মধ্যে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী অ্যাডেল আবদুল মাহদী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি এবং আল-মুহান্দিসের বদলি হিসাবে নিযুক্ত হাদি আল আমিরি। শুক্রবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে প্রাণ হারান সোলাইমানিসহ আরও কয়েকজন। জেনারেল সোলাইমানি ইরানের সেনাবাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এ হামলার পেছনে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ৬২ বছরের সোলাইমানির মৃত্যুতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন তিনি। এ হামলার পরপর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়ে গেছে। এক প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলেছে, ইরানি জেনারেলকে হত্যা যুক্তরাষ্ট্রের উন্মত্ত পদক্ষেপ। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি বলেছেন, সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ভয়ানক ঘটনা। ১৯৯৮ সাল থেকে ইরানের কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দেওয়া সোলাইমানি ইরানের শাসন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে দেওয়া হতো জাতীয় বীরের সম্মান। তার কুদস বাহিনী সরাসরি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনির কাছে জবাবদিহি করে। খামেনির পর জেনারেল সোলাইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হতো। তাকে হত্যার ঘটনায় তেহরান ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে নতুন অস্থিরতা এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় নতুন মাত্রা দেবে বলেই মনে করছেন বিশ্নেষকরা।