ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখেই সরকার ভুয়া মামলা সচল করছে : ইশরাক

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখেই সরকার ভুয়া মামলা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছে। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই সরকার এক-এগারোর মামলা সচল করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ বুধবার বাংলামটরে দুদকের একটি মামলার সম্পর্কিত প্রতিক্রিয়ায় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন একথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের সময় সব দলের নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এধরনের মামলা হয়েছে। কিন্তু এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের দলীয় নেতা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গায়েব করে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের দলের নেতাদের মামলা একটিভ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি গত জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলে সরকার এ মামলা নাড়াচাড়া শুরু করে। তবে আমি এতে ভিত নই। রাজনীতি করবো- জেল হবেনা, মামলা হবেনা, বাংলাদেশে কি এটা হয়?’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘মামলাটি অবশ্যই রাজনৈতিক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ মামলা করা হয়েছে। ২০০৮ সালে আমাকে একটা নোটিশ দেয়া হয়েছিল আমার সকল উইল স্ট্যাটমেন্ট দেয়ার জন্য। তখন আমি ছাত্র। পড়াশোনা করতে দেশের বাইরে ছিলাম। আমি নোটিশটা পাইনি। সেটার জন্য মামলা দিয়েছে, অন্য কিছু নয়। সে মামলা নিয়ে আজকে এসে তারা নাড়াচাড়া করছে। আমি বলব যে এগুলো করে কোন লাভ নেই। এতে আমি বিন্দু মাত্র বিচলিত নই। এগুলি আমি কোন বাধাই মনে করছি না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ মামলা দায়ের হয়নি। আজকে আমার একটা হাজিরা ছিলো। মামলা দায়ের হয়েছিল ২০১০ সালে। নোটিশ জারি হয়েছিল ২০০৮ সালে। এটা নতুন কিছু নয়। আমি আমার হলফনামায় লিখে দিয়েছি মামলা আছে।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও ভুয়া মামলায় আটকে রেখেছে। এক-এগারোর সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মামলা নিজেদের পক্ষে শেষ করলেও আমাদের গুলো সচল রাখে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’
ক্ষমতাসীনদের অপপ্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আমাকে শিবির বানিয়েছে। এরা কত বড় অপদার্থ। আমি দাড়ি রেখেছি, আল্লাহকে স্মরণ করছি বলেই এরা আমাকে শিবির বানিয়ে ছাড়ছে।’

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ