বগুড়া নিউজ ২৪ঃ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে কাঁকড়া-কুচিয়া রপ্তানি। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন কাঁকড়া-কুচিয়া সংগ্রহ-লালনপালন ও রপ্তানির সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই লাখ মানুষ। রপ্তানিকারকদের কাছে পাওনা টাকা আটকে যাওয়ায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না খামারিরা।
দ্রুত রপ্তানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ২০০ কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকরা। দিন কয়েক আগেও রপ্তানিযোগ্য কাঁকড়া-কুচিয়া প্রক্রিয়াজাতকরণের এ কারখানাগুলো ছিল কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর। সেখানেই এখন আশ্চর্য নীরবতা। শুয়ে বসে অলস দিন কাটছে শ্রমিকদের।দিন পনেরো আগেও দৈনিক প্রায় ৪৫ টন কাঁকড়া-কুচিয়া রপ্তানি হতো। যার ৯০ শতাংশই যেত চীনে। তবে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে স্থবির চীনে ২০ জানুয়ারির পর কুচিয়া রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। অল্প পরিমাণ কাঁকড়া যাচ্ছে হংক তাইওয়ান, মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশে।
ক্ষুদ্র খামারিরা বলছেন, চীনা নববর্ষের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাড়তি অর্থ লগ্নিতে পর্যাপ্ত কাঁকড়া-কুচিয়া মজুদ করলেও সবই এখন লোকসানের পথে।রপ্তানি তথ্য মতে, ২০১৯ সালে কাঁকড়া-কুচিয়ার মাধ্যমে বৈদেশিক আয়ের পরিমাণ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। এ বছর ১১০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা শুরুতেই খেল বড় ধরনের ধাক্কা।বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গাজী আবুল কাশেম বলেন, প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে নিবন্ধিত রপ্তানিকারকের সংখ্যা ২০৪টি।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বর্তমানে প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁকড়া-কুচিয়া মজুদ আছে। ১০০ কেজিতে দৈনিক ৫-৭ থেকে কাঁকড়া-কুচিয়া মারা যাচ্ছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু না হলে মজুদ করা কাঁকড়া-কুচিয়া সম্পূর্ণ মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে চীনের সাথে আলোচনা করে রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান খাত সংশ্লিষ্টদের।