বগুড়া নিউজ ২৪ঃ সারা দেশে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মোট শূন্যপদ ৭ হাজার ১৮টি। আর সহকারী শিক্ষকের মোট শূন্য পদ ২১ হাজার ৮১৪টি। সর্বমোট ২৮ হাজার ৮৩২টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সহকারী শিক্ষকের ১৮ হাজার ১৪৭টি শূন্য পদে নিয়োগে নির্বাচিত প্রার্থীদের নামে নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। শিগগিরই তারা যোগদান করবেন। মন্ত্রীর তথ্য মতে, প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের মধ্যে (৬৫%) পদোন্নতিযোগ্য চার হাজার ১৬৬ জন এবং সরাসরি নিয়োগযোগ্য (৩৫%) ২ হাজার ৮৫২ জন।
প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৩৫ শতাংশ শূন্য পদে নিয়োগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে, আদালতে মামলা থাকায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি আপাতত বন্ধ রয়েছে। তারপরও জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিকে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত শিক্ষক পদে এক লাখ ৭৯ হাজার ৭১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি দলের আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে ‘ব্যাপকভাবে সফল’ হয়েছে। ২০১০ সালে ঝরে পড়ার হার ৩৯ দশমকি ৮ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮ সালে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ অর্জন করেছে।