বগুড়া শাজাহানপুরের নয় মাইল বন্দর এলাকার জমি মালিক ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শাজাহানপুরের আড়িয়া ইউনিয়নের জামালপুর মৌজার নয় মাইল বন্দর এলাকার জমি মালিক, অবকাঠাম/স্থাপনা মালিক ও দোকান কর্মচারীদৈর পক্ষথেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ আবুল বাশার।
লিখিত বক্কব্যে তিনি বলেন, জামালপুর মৌজার সাবেক দাগ নং ৫২১, ৫২৩, ৫২৪, ২৫, ৫২৬, ৫২৭নং দাগের জমির মালিক।
আমাদের বর্তমান মাঠ রেকর্ড, এম আর আর, সি এস এবং বিভিন্ন ধরনের দলিল ও খাজনা খারিজ সূত্রে আমরা এই সমস্ত দাগের জমির প্রকৃত মালিক। এই সকল জমিতে কারো পাঁচ, তিন, দুই, এক তলা বা সেমিপাকা, কাচা ঘর বা এক চালা, দো চাল বিশিষ্ট ভবন/দোকান/গোডাউন দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যমান। আমরা নিজে বা ভাড়ায় এই সমস্ত অবকাঠামোতে ব্যবসা করে আসিছি। কিন্তু ০৭/সাসেক/২০১৮নং এল এ কেস মূলে এই জমিগুলি ও স্থাপনা অধিগ্রহনের ব্যবস্থা নিলে আমরা জানতে পারি যে উপরোক্ত আমাদের নিজ নামীয় জমি নয়মাইল হাটের নামে এবং স্থাপনা সমূহ নাই মর্মে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। এ খবর জানার পর আমরা মৌখিক ও লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসকের নিকট আমাদের নিজনামীয় জমির ক্ষতিপূরন আমাদের নিজ নামে এবং স্থাপনা পুনঃ তদন্ত সাপেক্ষে আমাদের নিজ নামে দেখানো ও পুনর্বাসনসহ ক্ষতিপুর আমাদের অনুকুলে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। ফলে আমরা চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি এবং আমাদের জীবন যাপন ধীরে ধীরে নিঃশেষ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অমানবিক। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এমন কাল্ডজ্ঞানহীন হঠকারী সিদ্ধান্তে আমরা হতবাক।
বক্তব্যে তিনি ১০ দফা দাবী উল্লেখ করেন। দাবী গুলির মধ্যে রয়েছে,
১। জামালপুর মৌজার ৫২১, ৫২৩, ৫২৪, ৫২৫, ৫২৬, ৫২৭নং সাবেক দাগের জমির ক্ষতিপূরন প্রৃকত জমি মালিককে প্রদান করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ২। আমাদের জমিগুলোতে আমাদের নির্মিত সকল ভবন ও স্থাপনার ক্ষতি পূনঃ নির্ধারন করে আমাদের অনুকুলে পুনর্বাসন সহ প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩। দোকানদারদের ক্ষতি পুনঃ নির্ধারন করে পূর্ণবাসন সহ ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪। কর্মচারীদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫। অধিগ্রহণ না করেই আমাদের জমি নয়মাইল হাটের নামে চালানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। ৬। স্থাপনা থাকা সত্বেও স্থাপনা শূন্য দেখানোর ষড়যন্স বন্ধ করতে হবে। ৭। জমির ও স্থাপনার ক্ষতিপূরন প্রকৃত মালিকদেরকে প্রদান না করে অধিগ্রহণ করা যাবে না। ৮। ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত ভূমি দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে।’ ৯। সরকারি নীতিমালা অনুসরন না করেই এই ধরনের কান্ডজ্ঞানহীন হটকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা কর্মকর্তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনা হউক। ১০। জমির দাম বর্তমান বাজার মূল্যে ৩ গুন প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দেলওয়ার হোসেন, আশরাফুল, আব্দুল হাকিম, আবু তাহের, মোয়াজ্জেম হোসেন, মকবুল হোসেন, মাহবুবর রহমান, রাবিকুল।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ