বগুড়া নিউজ ২৪ঃ ভালোবাসা প্রকাশে ফুল অন্যতম অনুষঙ্গ। বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের বিকল্প নেই। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের হাতে গোলাপ কিংবা জারবেরা ফুল তুলে দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করতে চান অনেকেই। তাদের চাহিদা পূরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
বুধবার ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালিতে জমজমাট ফুল বেচাকেনা হয়েছে।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্তবরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখেই ফুলের চাহিদা বেড়েছে। আরও দুইদিন ফুল বিক্রির ধুম পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার কাকডাকা ভোরেই যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গদখালি বাজারে ফুলে ফুলে ভরে যায়। পানিসারা, নবীনগর, হাড়িয়া, পটুয়াপাড়া, টাওরা, শরীফপুর এলাকার চাষীরা হরেক রকমের ফুলের পসরা নিয়ে বসেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ভিড় জমান। ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে জমজমাট হয় ফুলের হাট।
নবীনগর গ্রামের ফুল চাষী শিহাব হোসেন বলেন, পাইকারি ফুলের বাজারে গোলাপের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। এ জন্য দামও বেশি। মানভেদে প্রতি পিস গোলাপ ১৯ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি রজনীগন্ধা স্টিক ৮ টাকা, গ্লাডিওলাস ৮ থেকে ১২ টাকা, জারবেরা ১৫ থেকে ১৭ টাকা, প্রতি হাজারের গাঁদাফুল তিনশ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ফুল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন বলেন, গদখালিতে উৎপাদিত ফুল অনেকাংশে উন্নত। ফুল সরবরাহে সবচেয়ে বেশি সমস্যা পরিবহন ব্যবস্থা। বিভিন্ন ট্রাক-বাসের ছাদে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক ফুল নষ্ট হয়ে যায়। লোকসানের মুখে পড়তে হয়। পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে পারলে, গদখালির ফুল চাষীরা আরও লাভবান হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, তিনটি দিবস উপলক্ষে ফুলের বাজার জমজমাট। এবার সারা দেশে ফুল বেচাকেনায় প্রায় ২৫ কোটি টাকার হাতবদল হবে।