বগুড়া নিউজ ২৪ঃ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের স্থান মসজিদ আল-হারাম বা হারাম শরীফ বা মসজিদে হারাম। যা পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত। এ মসজিদের অভ্যন্তরে অবস্থিত পবিত্র কাবা শরীফ ও মদিনায় মসজিদে নববী -এ দুই পবিত্র স্থানে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ করেছেন হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
মক্কা নগরীর মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববীসহ হজ ও ওমরাহ করতে এসে মানুষ সেলফি তোলে। এটি হারাম না হালাল, তা না জেনে কিছু মানুষ সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যা অন্যান্য দর্শনার্থীদের সমস্যার কারণ হয়। সে কারণে সৌদি আরবের হারামাইন ওয়াশ শারীফাইন কর্তৃপক্ষ এক ফরমান জারি করেছে।
বিষয়টি সামনে এলো একটি ফতোয়াকে কেন্দ্র করে। ফতোয়াটি পেশ করেন মসজিদুল হারামের দারুল ইবতার সদস্য ও ইসলামী আইন শাস্ত্রের অধ্যাপক মোহাম্মদ আল মাসুদি।
ওই ফতোয়ায় তিনি বলেছেন, পবিত্র কাবা শরীফে সেলফি তোলা এক ধরণের শিরক। তিনি তার বক্তব্যে, হজ পালনরত অবস্থায় কেউ যদি সেলফি তোলে এবং তা প্রকাশ করে, তা হবে এক ধরনের রিয়া। আর রিয়া এক ধরণের শিরকের সমতুল্য বিষয়।
বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই হজ ও ওমরাহ করার সময় সেলফি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। পবিত্র নগরীতে সেলফি তোলা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচকরা মনে করেন, তারা হজ করতে নয়, মনে হচ্ছে আনন্দ ভ্রমণ করতে এসেছেন।
এদিকে, মুসলিমদের এ পবিত্র স্থানে অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেখানে ইসরাইলের এক ইহুদি ধর্মযাজক প্রবেশ করেন এবং সেলফি নেন। সে সময় সৌদি সরকার এ সেলফির কারণে চরম বিতর্কের মাঝে পড়ে যায়।
ইসরাইলের ধর্মযাজকের সেলফির ঘটনার পর এক তুর্কী দম্পতির নিয়ত ছিল পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় যাওয়ার। তারা সেখানে গিয়ে ভিডিও করে তা প্রকাশ করেন। আর এতে আরেও চরম বিতর্কের মুখে পড়েন হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বিভিন্ন সময় এ সেলফির কারণে বিতর্কের মুখোমুখি হয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। সে কারণে এবার পবিত্র নগরীতে সেলফি তোলায় জোরদার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদির হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সেখানে কাউকে সেলফি তুলতে দেখলেই দায়িত্ব পালনকারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নেবে।
