গাইবান্ধায় সিপিবির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু, গোবিন্দগঞ্জে তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, গাইবান্ধা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, সাঘাটা ফুলছড়ি,কামারজানিসহ জেলার নদী ভাঙ্গনপরাধে স্থায়ী সমাধান, সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তা ব্রিজ নির্মাণ, হাসপাতালের ২৫০ শযার জনবল কাঠামো বাস্তবায়ন, বালুয়া হাসপাতাল সংস্কার করে ১০০ শয্যায় রুপান্তর, গাইবান্ধায় অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরিসহ রাস্তাঘাট সংস্কাাহর ‘অচল গাইবান্ধা সচল করার’ দাবিতে আজ শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) গাইবান্ধা জেলা কমিটি এই কর্মসুচী পালন করে। বিক্ষোভ মিছিলে সিপিবির সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।

মিছিল শেষে সিপিবি জেলা কার্যালয়ে সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল ও শাহাদত হোসেন লাকু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সহসাধারণ সম্পাদক মুরাদজামান রব্বানী প্রমুুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, গাইবান্ধার চেয়ে পিছিয়ে পড়া পাশের জেলাগুলো যখন উন্নয়নের ছোঁয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে তখন গাইবান্ধা জেলার অবস্থা দিনের পর দিন অচল হয়ে পড়ছে। এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে জনগণকে সাথে নিয়ে সিপিবি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই সমাবেশ। নেতৃবৃন্দ বলেন, রামসাগর এক্্রপ্রেস বন্ধ হওয়ার পর থেকেই সিপিবি এই ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছে, এনিয়ে একাধিক কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে তিন সাঁওতাল হত্যার তিনবছর পার হলেও দৃশ্যমান কোন বিচার এখনও হয়নি।

এছাড়াও গাইবান্ধা কৃষ্ি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, সাঘাটা ফুলছড়ি, কামারজানিসহ জেলার নদী ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী সমাধান, সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তা ব্রিজ নির্মাণ, হাসপাতালের ২৫০ শয্যার জনবল কাঠামো বাস্তবায়ন, বালুয়া হাসপাতাল সংস্কার করে ১০০ শয্যায় রুপান্তর, গাইবান্ধায় অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরিসহ রাস্তাঘাট সংস্কারের জোর দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে বক্তারা এই সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানোয় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী ভারত সরকার ছিল অসাম্প্রদায়িক, কিন্তু বর্তমান ভারত সরকার সা¤প্রদায়িক ও মানবতাবিরোধী তাই মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের আমন্ত্রণ প্রত্যাহর করা হোক।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ