বগুড়া নিউজ ২৪ঃ বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে ১০৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। রোববার (০৮ মার্চ) সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের নাম। ইতালিফেরত দুই যাত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই তারা দেশে প্রবেশ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই জনসাধারণের মাঝে প্রশ্ন উঠছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাভেদ করে কীভাবে তারা দেশে প্রবেশ করলো।
দেশে করোনার প্রবেশ ঠেকাতে শাহজালাল বিমান বন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার ছিল। এর মধ্যে দুটি আগেই বিকল হয়ে ছিল। এবার সচল থাকা একমাত্র স্ক্যানারটিও বিকল হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ যাত্রীদের করোনা শনাক্তে এখন হ্যান্ডহেল্ড ইনফারেড স্ক্যানার ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে থার্মাল স্ক্যানারটি বিকল হয়ে গেছে। মেশিনটি মেরামত করা যায় কিনা তা টেকনিশিয়ানরা পর্যবেক্ষণ করছেন। এ মুহূর্তে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার মেশিন দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গড়ে প্রতিদিন ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ইবোলা সংক্রমণ শুরু হলে ২০১৪ সালের নভেম্বরে বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়। তিনটি মেশিনের মধ্যে একটি ভিআইপি জোনে, বাকি দুটি সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের স্থানে রয়েছে। এর মধ্যে তিনটিই এখন বিকল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার সময় অনেককেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রীরা অধৈর্য হয়ে স্ক্যানারটির ওপর হামলে পড়লে সেটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে আর কাজ করেনি সেটি। হাতের মেশিন দিয়ে তাপমাত্রা দেখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। আরও চারজন কোয়ারেন্টাইনে এবং ৮ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।