লকডাউনে যেসব পণ্য সংরক্ষণে রাখা উচিত

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ করোনাভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ মানুষ এখন ঘরবন্দি রয়েছেন। এ সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংরক্ষণে রাখা উচিত ও বাইরে না যাওয়া উত্তম।

আসুন জেনে নিই মহামারীর সময় যেসব পণ্য সংরক্ষণে রাখা উচিত–

১. ঘরবন্দির এই সময়ে প্রয়োজনীয় শুকনা খাবারগুলো সংগ্রহে রাখুন। চাল, আটা, ময়দা, ডাল, বিন, মটর ইত্যাদি সংরক্ষণে রাখুন। ওটস বা অন্যান্য শস্য পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন।

২. ক্যান বা টিনের কৌটাজাত খাবারের সংগ্রহে রাখতে পারেন। মেয়াদ ঠিকমতো দেখে নিয়ে পছন্দসই ক্যানজাত খাবার সংরক্ষণে রাখুন। চাইলে ক্যান-টুনা, ফল ও সবজি কিনতে পারেন।

৩. বাসায় বাড়তি নাস্তার ঝামেলায় যেতে চান না কেবল তারা ‘ফ্রোজেন ফুড’ কিনে রাখতে পারেন।

৪. রেফ্রিজারেইটরে ভালো থাকে এমন ফল ও সবজি কিনে সংরক্ষণে রাখতে পারেন। এ ছাড়া আলু ও পেঁয়াজ কিনে রাখতে পারেন।

৫. দুধ বা ফলের জুস কেনার আগে মেয়াদ দেখে নিন। এ ছাড়া রান্নার তেল সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।

৬. বাদাম, শুকনা ফল, খেজুর বা শুকনা বেরি সংরক্ষণে রাখতে পারেন। এ ছাড়া সূর্যমুখীর বীজ, চিয়া, কুমড়ার বীজও সংরক্ষণে রাখতে পারেন। এসব ফল, বীজ ও বাদাম মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর নাস্তা বানানো যায়।

৭. পছন্দমতো চকোলেট, চিপস, বিস্কুট ও অন্যান্য খাবার সংরক্ষণে রাখতে পারেন। এ ছাড়া চা ও কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তাও সংরক্ষণে রাখা ভালো।

৮. যে কোনো সংক্রমণ প্রতিরোধে জীবাণুনাশক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। তাই ঘরে প্রয়োজনীয় সাবান, স্যানিটাইজার, কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্ট, ঘর পরিষ্কারের জীবাণুনাশক ইত্যাদি কিনে রাখতে পারেন।

৯. শিশু থাকলে তার প্রয়োজনীয় খাবার, ডায়াপার ও অন্যান্য জিনিসপত্র কিনে সংরক্ষণ করুন।

১০. নিজের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সংগ্রহ করতে পারেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ