পুরান ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত ৬৬ জন

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ দেশে করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) মোট যতজন শনাক্ত হয়েছেন, তার প্রায় অর্ধেকই রাজধানী ঢাকার অধিবাসী। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৯ জন। সব মিলিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২১ জনে। আর করোনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জন মারা গেছেন।

রবিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজধানীর মধ্যে পুরান ঢাকার এলাকাগুলোতে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। পুরান ঢাকার ১০টি থানা এলাকার মধ্যে কেবল শ্যামপুরে এখনো কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বাকি নয় থানা মিলিয়ে মোট ৬৬ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে বংশাল ও চকবাজার থানা এলাকায়, ১১ জন করে। এরপরে রয়েছে ওয়ারি ও হাজারীবাগ থানা, ১০ জন করে আক্রান্ত হয়েছে এসব থানা এলাকায়। মৃতদের মধ্যে সূত্রাপুরে তিনজন, চকবাজারে দুজন এবং ওয়ারি, লালবাগ ও গেন্ডারিয়ার একজন রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অতি সংক্রামক এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পুরান ঢাকার তিন শতাধিক ভবন লকডাউন করা হয়েছে।

বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, আজও (রবিবার) আলী নেকীর দেউরিতে একজন করোনা ভাইরাস রোগীর সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। ওই এলাকার ২২টি ভবন ইতোমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে।

চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, রবিবার নুর ফাত্তাহ লেনে একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত খাজেদ দেওয়ান লেন, উর্দু রোড, ওয়াটার ওয়াস্ক রোডে মোট ১১ জন রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন, সুস্থ হয়েছেন তিনজন।

ওয়ারি থানা এলাকায় ১০ শনাক্ত এবং তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ওসি আজিজুল হক জানিয়েছেন।

হাজারীবাগ থানা এলাকায়ও ১০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ওসি ইকরাম আলী মিয়া। এখানে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি। এলাকার অন্তত ১০টি বাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোতয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, তার থানা এলাকায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচজন। এদের বাইরে চারজন রয়েছেন সন্দেহজনক। এখনো কারও মৃত্যু হয়নি।

মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি সূত্রাপুরে, যদিও সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য জায়গার চেয়ে কম। ওই এলাকায় আক্রান্ত সাতজন।

সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী এলাকার বেশ কয়েকটি ভবন অবরুদ্ধ করে রাখার তথ্য জানিয়েছেন।

গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. সাজু মিয়া জানান, এই এলাকায় চারজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন একজন।

লালবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আসলাম উদ্দিন বলেন, রবিবারও জেএন সাহা রোডে একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এলাকাবাসী আগে থেকেই ওই এলাকায় চলাচল সীমিত করেছে।

লালবাগ থানা এলাকায় সাতজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঘনবসতিপূর্ণ কামরাঙ্গীরচরের আবু সাইদের ভিটায় ৪৫ বছর বয়সী এক সবজি বিক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন বলে থানার ওসি মো. মশিউর রহমান জানিয়েছেন।

শ্যামপুর থানা এলাকায় এখনো কারও করোনা ধরা পড়েনি বলে ওসি মফিজুল আলম জানিয়েছেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ