শ্রমিকদের ঢাকায় আনা যাবে না,মালিকদের উদ্দেশে বিজিএমইএ বার্তা

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ট্রেন-বাসসহ সবধরনের গণপরিবহনও বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সদস্যভুক্ত কারখানা মালিকরা যাতে শ্রমিকদের গ্রাম থেকে ডেকে ঢাকায় না নিয়ে আসে সে ব্যাপারে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে দেয়া মালিকদের উদ্দেশে এক বার্তায় এই আহ্বান জানানো হয়।

অনেক কারখানা থেকে ফোন করে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। চাকরি বাঁচাতে অনেক শ্রমিক ঢাকায় আসছেন এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ এই নির্দেশনা দিলো।

কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ক ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অর্থনীতি সচল রাখতে সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার নির্দেশনা বিজিএমইএ দেবে। সেই নির্দেশনা পাওয়ার আগ পর্যন্ত যেসব শ্রমিক গ্রামে আছে, তাদের ঢাকায় আসতে না বলার অনুরোধ করা হচ্ছে। এখনো দেশের তৈরি পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি।

বার্তায় আরও বলা হয়, পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক পোশাক কারখানা খোলার নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে শুরুতে কারখানা সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। ফলে প্রথম ধাপে কারখানার আশপাশে যেসব শ্রমিক থাকে, তাদেরই কাজে যোগদান করতে বলা যাবে।

মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় কোনো শ্রমিক ছাঁটাই না করার অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনো শ্রমিককে অসমর্থিত ও অনুপযুক্ত উপায়ে ঢাকা নিয়ে আসা হলে সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএ কোনো সহায়তা করবে না বলেও ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের (৮ মার্চ) ঘোষণার ১৭ দিন পরে সংক্রমণ ঠেকাতে আগে-পরে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। যে ছুটি পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৫ মে পর্যান্ত করা হয়। সর্বশেষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছুটিসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ