চীফ হুইপের নির্দেশে শিবচরে আরো ৫’শ পরিবারের মাঝে ইফতার বিতরণ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে শিবচরের কাঁঠালবাড়ীতে আরো ৫০০ কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র, ভ্যান চালক, অটো চালক ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার দিনব্যাপী (২৫ এপ্রিল) প্রথম রমজানে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দিন সোহেল বেপারী তার নিজস্ব অর্থায়নে এ ইফতার সামগ্রী প্যাকেট বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করেন। ইফতার সামগ্রী মধ্যে ছিল ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি খেজুর, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি চিরা, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, মুড়ি, ট্যাং ও বেগুন।

এর আগেও তিনি মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় ৪ শতাধিক শিশুর মাঝে প্রত্যেককে ১ প্যাকেট দুধসহ বিভিন্ন শিশুখাদ্য এবং শনিবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকে শুরু করে রবিবার (১৯ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ২৩০০ অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও কিছু নগদ টাকা বিতরণ করেন।

এছাড়াও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এমপির পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে দেশের প্রথম কনটেইনমেন্ট ঘোষিত শিবচর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বুধবার থেকে শুরু করে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসার ঈমাম, মুয়াজ্জিন, চতুর্থ শ্রেণীর দু:স্থ কর্মচারী, জেলে সম্প্রদায়সহ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসী ও নিম্ন আয়ের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও ৩০ হাজারের বেশি মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং জেলা আওয়ামীলীগ।

কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দিন সোহেল বেপারী বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুনির চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় কঠোর নীতিমালা মেনে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নসহ সর্বত্র উপজেলায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের একটি পরিবারও যেন অনাহারে না থাকে সেজন্য সব সময় মনিটনিং করছি। সারা বিশ্বে মহামারি করোনার আতঙ্কে এবং সরকার ঘোষিত লকডাউনে স্থবির আজ পুরো দেশ, তারই ধারাবাহিকতায় কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পুরোটা লকডাউনে আওতায় আনার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি করে তা বাস্তবায়ন করা হয়। যেহেতু লকডাউনের কারনে কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলো আজ ঘরবন্দী। সরকারী ত্রাণ ছাড়াও আমার নিজস্ব অর্থায়নে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমি বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী, শিশুখাদ্য, নগদ টাকা ও ইফতার সামগ্রী প্যাকেট পৌছিয়ে দিয়েছি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ