পাকা ধান ঘরে তুলতে নওগাঁয় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। দিগন্ত জুড়ে ইরি-বোরো ধানের সোনালী রঙে ভরা মাঠ। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ১ লাক্ষ ৮২ হাজার ৪৫০ হেক্ট ইরো-বোরো ধান আবাদ হয়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখনো হানা না দেয়ায় ধানের বাম্পার ফলনের আশা করেছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। ইতি মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই। তবে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারনে কৃষকরা কিছুটা শ্রমিক সংকটের দুশ্চিন্তায় পড়ে। তবে সেই সংকট কাটাতে ও পাকা ধান কৃষকের ঘরে তুলে দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর রশীদ জানান, খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁয় শুরু হচ্ছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছে ধান কাটা শ্রমিক। গন্তব্যে পৌছার পর দেশের প্রানঘাতি করোনা ভাইরাসে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। থাকার জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তারা যেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে ধান কাটে সেজন্য তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

একই সাথে স্থানীয় যেসব শ্রমিক আছে, যুব সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষকে কাজে লাগানো হবে ধান কাটা কাজে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কৃষি প্রনোদনার আওতায় জেলায় ৬৫টি হারভেষ্টার মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। এসব মেশিন ১ঘন্টায় ৩বিঘা জমির ধান কাটতে পারবে। তাই এসব মেশিন কৃষকের ধান কাটা কাজে লাগানো হবে। যাতে কৃষক সুষ্ঠভাবে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, খাদ্যমন্ত্রী একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি জেলার ৯৯টি ইউনিয়নে ধানকাটা শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ১৮০টি থার্মাল স্ক্যানার দিয়েছেন। এবং এসব থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে কৃষক পর্যায়ে যারা শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কারো শরীরে তাপমাত্র বেশি থাকলে তাকে চিহ্নত করে ব্যবস্থা নিতে পারছি। এটি খাদ্যমন্ত্রীর একটি ভালো উদ্যোগ বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের কিসমত কসবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ও শরীরের তাপামাত্রা মাপা থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মাপা শেষে এসব কথা জানানা তিনি। এসময় বাইর থেকে আসা শ্রমিকদের চিড়া, মুড়ি ও গুড়সহ শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ