সৈয়দপুরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বিটুল

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় একমাত্র করোনা ভাইরাসে পজিটিভ হাফিজুল হক বিটুল (৩৮) সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ২০দিন চিকিৎসা শেষে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে তিনি উপজেলার ৫ নম্বর খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা বক্শীপাড়ার বাড়িতে যান। এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে রিলিজকালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শহীদুল্লাহ্ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় হাসপতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আর এমও) মো. আরিফুল হক সোহেলসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাশার করোনা ভাইরাস পজিটিভ হাফিজুল হক বিটুল সুস্থ হয়ে হাসপতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, সৈয়দপুর উপজেলার ৫ নম্বর খাতামধুপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসহাকের ছেলে হাফিজুল হক বিটুল (৩৮)। তিনি নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় সুগন্ধা হোটেলের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত ৪ এপ্রিল শরীরে জ্বর নিয়ে তাঁর গ্রামের খালিশা বেলপুকুর বক্সীপাড়ার বাড়িতে আসেন। এরপর নারায়নগঞ্জ থেকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসার বিষয়টি সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন এলাকার লোকজন। পরে সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারিন্টাইনে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত ৭ এপ্রিল সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে নীলফামারী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ৯ এপ্রিল রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট আসেন। এ অবস্থায় ওই দিনই তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে রেখে তাকে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর শরীর থেকে দুই দফা নমুন দিয়ে পরীক্ষায় নেগেটিভ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় হাসপতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠায় হাফিজুল হক বিটুলকে গতকাল বুধবার হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। তবে ছাড়পত্র দেওয়ার আগেও তাঁর শরীর থেকে আরেক দফা নমুন সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ