ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেলো কিশোরী সিনথিয়া। পরপর দুটি নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব্ পাওয়া যায়নি তার শরীরে। পাশাপাশি তার পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব নেই। ৭ই মে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে। জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিল সিনথিয়া ইসলাম। তৃতীয় দফায় তার নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ পাওয়া যায়। কিশোরী সিনথিয়া ইসলাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল গ্রামের আমিনুল ইসলাম মামুনের মেয়ে। কিশোরীর বাবা র্যাংকস গ্রুপে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল। চিকিৎসা গ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে করোনাভাইরাস পজিটিভ থেকে নেগেটিভে আসার বর্ণনা দেয় কিশোরীর বাবা আমিনুল ইসলাম মামুন। তিনি বলেছে, সিনথিয়াকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিষয়ে বুঝতে দেইনি। পুরো সময়টুকু মনোবল শক্ত রেখেছিলাম। করোনাকে জয় করতে পারব এমন আত্মবিশ্বাস ছিল। পরিবারের লোকজন কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিল। তারপরেও সাহস হারাইনি। ঢাকা ফেরত খবর পেয়ে গত ২১ শে এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওই দিন তার নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়ায় পাঠায়। আর তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলে। পরে ২২ শে এপ্রিল রাতে তার নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার খবর পাওয়া যায়। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শে পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ঘনঘন গারগিল করানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর হালকা গরম পানি পানসহ নিয়মিত চা খাওয়ানো হয়েছে। তবে কোনো ওষুধ সেবন করানো হয়নি। করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ওই কিশোরীর বাবা আমিনুল ইসলাম মামুন।
আপডেট টাইম : শুক্রবার, মে ৮, ২০২০, ২১৭ বার পঠিত
Please follow and like us: