ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সাবেক প্রাদেশিক পরিষদের এমএলএ মরহুম সৈয়দ আহম্মদের ২য় পুত্র ও বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সৈয়দ আহম্মদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ্ব নজবুল হক (৭৪) শুক্রবার বিকাল ৫টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহী রাজিউন)। মৃতকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও দুই ছেলে সন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সৈয়দ নজবুল হক ১৯৪৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর (সরকার বাড়ি) নামক গ্রামের এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রাক্তন এম.এল.এ সৈয়দ আহম্মদ সরকার এবং মাতা আয়েশা খাতুন। তিনি ১৯৬২ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে মেট্রিকুণেশন এবং ১৯৬৪ সালে সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এই.এস.সি পাস করেন। এরপর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে ১৯৬৮ সালে বি.এস.সি (অনার্স) এবং ১৯৬৯ সালে এম.এস.সি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি সৈয়দ আহম্মদ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের সন্তান যাতে বাড়ির পান্তাভাত খেয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারে সেই লক্ষ্যে তিনি এইচ.এস.সি কার্যক্রম শুরু করেন এবং পরবর্তীতে কলেজটিতে ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করেন। তিনি ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন। কলেজটিকে সার্বিক উন্নতির পত্রে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে শিক্ষক কর্মচারী, গভনিং বডির সদস্য ও এলাকাবাসীর অনুরোধে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এছাড়াও তিনি ১৯৮৫ সালে সোনাতলা উপজেলা পরিষদের ১ম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তিনি মার্চ মাসের ১ম সপ্তাহে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা বাসায় ব্রেন স্টোকে ১ম আক্রান্ত হন। এরপর তাকে ঢাকা মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল ও ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে মুকদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বেলা ৫টায় তিনি সেখানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে সৈয়দ আহম্মদ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সাইদুজ্জামান নিশ্চিত করেন।