বগুড়া নিউজ বিডিঃ শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না যাত্রীর চাপ। গাদাগাদি করেই পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
এদিকে সোমবার থেকে ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে। ফেরিগুলোতে শুধু যাত্রী আর যাত্রী। হাজার হাজার যাত্রীর কারণে জরুরি পরিসেবা ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা যানবাহন না পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বরিশাল পটুয়াখালী যাচ্ছে। ঘাটে ফেরি আসতেই শত শত যাত্রীরা গাদাগাদি করে নামছে। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেরি চালক ও কর্মচারীরা জানান, বর্তমানে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ করোনা রোগী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে। আর সেখান থেকে আসা হাজার হাজার যাত্রী ফেরিতে গাদাগাদি করে প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে। যাত্রীরা কোনো সামাজিক দূরত্ব মানছে না। চাকরির কারণে আমরা ফেরি চালাতে বাধ্য হচ্ছি। আমরাও ঝুঁকিতে রয়েছি।
এদিকে ছোট যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩টি ফেরি চালু রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে ঘাটে যাত্রী চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে ঢাকার বাহিরে অথবা ঢাকার বাহির থেকে ঢাকায় প্রবেশে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যেন যাত্রীরা জড় না হতে পারে সে ব্যাপারে ফেরি কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আ. আলীম বলেন, এ রুটে ১৩টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। উভয়পাড়ে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।