বগুড়া শহরের শেরপুর রোডে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও রেড জোন এলাকায় জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার: ফুটপাতের উপর সরকারি যায়গা দখল করে ফেরিওয়ালা বা কোন অবৈধ দখলদার দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সকল ধরণের স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা স্পষ্টভাবে বলা থাকলেও এসব যেন ‘কাজীর গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নেই’ এমন অবস্থা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সমঝদার কোন ব্যক্তি বা সচেতন নাগরিক কেউ এর বিরুদ্ধাচরণ করলে অবৈধ দখলদার তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অসংলগ্ন আচরণ করেন এবং এমনভাবে কটুক্তি করেন যেন জায়গাটা তিনি ওয়ারিশ সূত্রে বা খরিদমূলে পেয়েছেন। বগুড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এসব অবৈধভাবে স্থাপিত দোকানপাটগুলো উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহন করেছে এবং পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে । রোববার সকাল ১০টা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করি ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম রাশেদুল এবং ম্যাজিস্ট্রেট এ.টি.এম কামরুল ইসলাম।
‘করোনা’ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘লকডাউন ও রেড জোন’ এলাকায় প্রতিদিনের মত আজকেও জেলা প্রশাসক, বগুড়া কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করে যান চলাচল ও দোকানপাট খোলা রাখায় তাদের সরকারি আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারায় জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়। পক্ষান্তরে, যারা মাস্কবিহীন ও অপ্রয়োজনে রেড জোনের ভিতরে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা করেছেন তাদেরকে সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ২৪(১) ও ২৪(২) ধারায় জরিমানা করে তাৎক্ষনিক আদায় করা হয় এবং অনেককে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক প্রদান করা হয়। পৌরসভা আইন অনুযায়ী যারা আইন ভঙ্গ করে দোকান পাট বসিয়েছেন, জনসাধারণের চলাচলে বিঘর্œ করে ইট বালু সিমেন্টের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি রাস্তা ব্যবহার করছেন তাদেরকে জরিমানা করে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয় এবং পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে জানানো হয়। ঠনঠনিয়া বাস স্ট্যান্ড ও কলোনী বাজার এলাকা থেকে সূত্রাপুর পর্যন্ত রাস্তার ধারে অবস্থিত ফুটপাতের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরইমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ. টি. এম কামরুল ইসলাম ও ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. রাশেদুল ইসলামের আদালত মোট ৩টি আইনে ৮টি মামলায় ৬৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করে যা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়। উচ্ছেদে প্রাপ্ত অবৈধ জিনিসপত্র করতোয়া নদীর পাড়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্মিত সুদৃশ্য ফুটপাত অবৈধ দখলদার হতে পুনরুদ্ধারে সার্বিক সহায়তায় ছিলেন বগুড়া পৌরসভা, বগুড়া জেলা পুলিশ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব শাহ আলী খান, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, কলোনী বাজারের তত্বাবধায়ক ও বগুড়া মূক বধির স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। স্থানীয় জনসাধারণ স্বতস্ফূর্তভাবে মোবাইল কোর্টকে সহায়তা প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বগুড়ার সার্বিক দিকনির্দেশনায় জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তারা জানান।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০