চলে গেলেন বীর প্রতীক বদিউজ্জামান টুনু

মঈন উদ্দীন: একাত্তরের রণাঙ্গনের অকুতোভয় যোদ্ধা বীর প্রতীক বদিউজ্জামান টুনু আর নেই। রোববার (২১ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনুর পৈত্রিক বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর ল²ীপুর ঝাউতলা মোড়ে। এ বাড়িতেই তিনি থাকতেন। রাজশাহীর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আরিফুল হক কুমারের চাচা শ্বশুর তিনি। আরিফুল হক কুমার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বদিউজ্জামান টুনু।
আরিফুল হক কুমার জানান, বেশকিছু দিন আগে বদিউজ্জামান টুনুর পা ভেঙ্গে গিয়েছিল। এছাড়া বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো ছিলই। সপ্তাহখানেক আগে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাসায় নেয়া হয়েছিল। শনিবার তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে আবারও রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
বদিউজ্জামান টুনু ১৯৭১ সালে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর। ওই বয়সেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভারতে গিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। তারপর ৭ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধও করেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বদিউজ্জামান টুনু বীর প্রতীক খেতাব পান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বদিউজ্জামান টুনুর বড় ভাইয়ের দুই ছেলে, ছোট ভাই, ভগ্নিপতি ও ভাগনি জামাই নজমুল হককে হত্যা করে। নজমুল হক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেমবিø) ছিলেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০