বগুড়া নিউজ ২৪ঃ সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের শঙ্কা-আশঙ্কা ভুল প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের চতুর্থ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এ সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ তিন মাসের বেশি সময় ধরে প্রায় সবকিছু বন্ধ। এখন সীমিত আকারে খুললেও সবকিছু চালু হয়নি। সরকারের সঠিক এবং সময়োচিত পদক্ষেপ ও একইসাথে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার কারণেই তিন মাসে বাংলাদেশে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। দেশে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই। খাদ্যের জন্য হাহাকারের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন, তাদের সেই মত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রেও সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আরও নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং এগুলো ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা যদি এভাবে এগিয়ে যেতে পারি, পরম সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমরা এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।
তিনি বলেন, জীবন এবং জীবিকা রক্ষা দুটির মধ্যে সমন্বয় করেই নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সে জন্য এখন এলাকাভিত্তিক রেড জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিত এলাকায় যেসব বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন, আমাদেরকে অবশ্যই কঠোরভাবে সেগুলো মানতে হবে। তাহলেই আমাদের পক্ষে নিজেদের, নিজের পরিবারকে, কাছের জনদেরকে সুরক্ষা দেয়া, সর্বোপরি মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভাগীয় কমিশনার জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে আইসিইউ বেড ১৯৬টি। এর মধ্যে কিছু বেড খালিও আছে। অর্থাৎ এখানে শুরুতে যে সংকট ছিল, এখন তা নেই। চট্টগ্রামের রোগীরা যাতে আরও ভালোভাবে চিকিৎসা সুবিধা পায় সে জন্য আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করছি, চট্টগ্রামে নিয়মিত সমন্বয় সভা করছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে যে কমিটি করে দেয়া হয়েছে, তারাও কষ্ট করে অনেক কাজ করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় কভিড-১৯ টেস্টের ব্যবস্থা করে যে উদাহরণ তৈরি করেছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদেরকে অনুসরণ করবে বলে আমি আশা করি।