বগুড়া নিউজ ২৪ঃ লাদাখ সীমান্তে এখনো কার্যত যুদ্ধপরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুপক্ষই বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। একে অপরের ওপর রাখছে কড়া নজর। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে চীনের শত শত নজরদারি ড্রোন।
ভারতীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য কৌশলগত এসব ড্রোন উড়াচ্ছে চীনা সেনাবাহিনী (পিএলএ)।
কখনো কখনো এসব ড্রোন সীমান্ত পেরিয়ে পূর্ব-লাদাখের ভারতীয় অংশেও ঢুকে যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ওপর শনাক্ত করা হয়েছে ড্রোন। তবে ড্রোন নজরদারিতে পিছিয়ে নেই ভারতও। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর সম্প্রতি নজরদারি শুরু করেছে।
এ জন্য ইসরায়েলে তৈরি বিশেষ ড্রোন ‘হেরন’ মোতায়েন করা হয়েছে ভারতে। প্যানগং, গালওয়ান উপত্যকার পর দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও) সড়কের ওপর নজর দিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে সড়কের কাজ আটকে দেয়ার তৎপরতা শুরু করেছে।
এ ছাড়া ডিবিও সক বরাবর নিজেদের এলাকায় সেনাও বাড়িয়েছে। চীনের এ অপতৎরতা রুখতে তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার রাতে দারবুক-শাইয়োক-ডিবিও সড়কজুড়ে অনেক সেনাও মোতায়েন করেছে নয়াদিল্লি।
তবে লাদাখ সীমান্ত থেকে চীন সেনা কমাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। কেন্দ্রীয় সরকারে একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাদাখের তিনটি অঞ্চলেই গত ৩ দিনে চীনা সেনার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
গত মাসেই লাদাখ সীমান্তে এআর৫০০সি নামে হেলিকপ্টার আকৃতির বিশাল ড্রোন মোতায়েনের ঘোষণা দেয় চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। ড্রোনগুলো ৫ হাজার মিটার উঁচুতেও উড়তে পারে। ৫০০ কেজি পর্যন্ত রসদ নিয়ে ১৭০ কিলোমিটার গতিতে টানা ৫ ঘণ্টা আকাশে থাকতে পারে।
এদিকে চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর কর্পস মোতায়েন করেছে হেরন মিডিয়াম অলটিটিউড লং এনডুরেন্স ড্রোন। সেই ড্রিন থেকে সীমান্তে নজর রাখা হচ্ছে। এ ড্রোন অন্তত ১০ কিলোমিটার উঁচুতে উড়তে পারে। টানা ২৪ ঘণ্টা চক্কর কাটতে পারে আকাশে।
এ ছাড়া সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীর কাছে রয়েছে পোর্টেবল ড্রোন। একাধিক ‘স্পাইলাইট মিনি’ ড্রোন মজুদ রাখা হয়েছে।
যা দিয়ে সহজেই সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকায় শত্রুদের অবস্থান দেখে নিতে পারবে। ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ ড্রোনগুলে তৈরি হয় ২০১৮ সালে। যে কোনো আবহাওয়াতেই এ ড্রোন উড়ানো সম্ভব।
১০ হাজার মিটার থেকে ৩০ হাজার ফুট উঁচু পর্যন্ত উড়তে পারে এ ড্রোন, তুলে আনতে পারে রিয়েল টাইম ভিডিও ফুটেজ।