আমরা শক্ত হাতে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের দেশে সুন্দর স্বাস্থ্যসেবার কারণে মৃত্যুর হার অনেক কম। আমরা শক্ত হাতে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যে কোনও দুর্যোগে নারী ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। করোনাও তেমনি একটি রোগ। তবে প্রথমে লকডাউনের কারণে পেনিক সৃষ্টি হয়। পরে অল্প অল্প করে ছুটি বাড়ানোয় ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হয়।’

করোনার কারণে দারিদ্র্যসীমা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে বাল্যবিয়ে বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শনিবার (১১ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “মহামারি কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি”।

মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যসেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠকর্মীদের চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে, এতে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি কিছুটা কমেছে, এটি উদ্বেগের। লকডাউন থাকা এবং যানবাহন না পাওয়ায় অনেকে আসছেন না। আমরা চাই না, একজন মা সেবার অভাবে মৃত্যুবরণ করুক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সুন্দর স্বাস্থ্য সেবার কারণে মৃত্যুর হার অনেক কম। কোভিড-১৯ কারণে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে একই অবস্থা। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, ডাক্তার, নার্স যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছিল। অনেক পুরস্কার পেয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। গড় আয়ু বেড়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। ভ্যাকসিন হিরো হিসেবে খেতাব পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা সকলে মিলে অর্জন করেছি। সকলে মিলে এই সাফল্য ধরে রাখবো। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারি সেদিকে নজর দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। ভিড় এড়িয়ে চলবেন। কোভিড-১৯ এর এখনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। তবে চিকিৎসার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এতে আমরা ফল পাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এফডব্লিউএ এফডব্লিউপি এসব কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোভিডের মধ্যেও তারা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে সচেতন করছে। অর্থনৈতিক চাপের কারণে বাল্য বিয়ে হয়। আপনারা জানেন ৫০ হাজার পরিবারকে আড়াই হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। যাতে অর্থনৈতিক চাপ কমে যা। সব মিলিয়ে আমি মনে করি কোভিড দীর্ঘ হলেও আমরা বাল্যবিয়ে রোধ করতে সক্ষম হবো।’

সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর। আইইএম’র পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছা সভা পরিচালনা করেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ