কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ গ্রীষ্ম হলো ফলের ঋতু। এই মৌসুমের সুস্বাদু ফল আম। আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। অনেক সময় বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ক আম বিক্রি করেন অনেক ব্যবসায়ী। গাছপাকা না হওয়ায় আমগুলো পাকানো হয় রাসায়নিক দিয়ে। এই আমের স্বাদ তো থাকেই না, সেইসঙ্গে এটি শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।

আপনি যদি সুন্দর হলুদ পাকা আম দেখে কিনে থাকেন, তবে এই ফলগুলো খাওয়ার মাধ্যমে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন অসুখ। তাই চেষ্টা করুন গাছ পাকা আম খাওয়ার, পাশাপাশি অন্যান্যদেরও সচেতন করুন। রাসায়নিক দেয়া পাকা আম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
ক্যালসিয়াম কার্বাইড, অ্যাসিটিলিন গ্যাস, কার্বন-মনোক্সাইডের মতো রাসায়নিকগুলো ব্যবহার করে কাঁচা আম ও অন্যান্য কাঁচা ফল পাকানো হয়। রাসায়নিকগুলো এতটাই ক্ষতিকারক যে, ফলের মাধ্যমে তা শরীরে গেলে ত্বকের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়।

জেনে নিন রাসায়নিকভাবে পাকানো আম চেনার উপায়-

* ফলের চেহারা হবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়।

* কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমের সবদিকটাই সমানভাবে পাকবে কিন্তু গাছ পাকা ফলের সবদিক কখনোই সমানভাবে পাকে না।

* রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফলে স্বাভাবিক পাকা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকে না।

* প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের চামড়ার ওপর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। কিন্তু ক্যামিকেল দ্বারা পাকানো ফলে আয়োডিনের রং অপরিবর্তিত থাকে।

খাওয়ার ক্ষেত্রে করণীয়:

* ফলের মৌসুমের আগে ফল কিনবেন না। কারণ, সময়ের আগে প্রাপ্ত ফলগুলি ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে।

* খাওয়ার আগে পানিতে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাবেন।

* আস্ত ফল সরাসরি খাবেন না।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ