করেনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা করেছে শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল : র‌্যাব

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলেও বাস্তবে হাসপাতালটি গোপনে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। এটি হাসপাতালের একটি প্রতারণা বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম।

আজ রোববার (১৯ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানটি এখনো চলছে।

অভিযান চলাকালে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটি অনুমোদন ছাড়াই র‌্যাপিড কিট দিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের কাজ করছিল। এছাড়াও তারা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা করেও নেয় বলে অভিযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আমরা তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় এই অনুমোদন বাতিল করা হয়। এরপরও তারা গোপনে কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এই টেস্টগুলো তারা ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন নাই। আর যেসব রিপোর্ট দিয়েছে তা সবই ভুয়া।

দ্বিতীয় অভিযোগ হলো- হাসপাতল কর্তৃপক্ষ কিছু পরীক্ষা বাইরের অন্যান্য হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের (শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ) প্যাডে লিখে রোগীদের দিয়েছে।

তৃতীয় অভিযোগ হলো- তারা কিছু প্রোডাক্ট যেমন মাস্ক, গ্লোভস, এগুলো তারা একের অধিক বার ব্যবহার করছে। এগুলো মূলত ওয়ানটাইম ইউজেবল। কিন্তু তারা এগুলো বার বার ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, আমরা পুরো হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করছি। হাসপাতালের ওষুধাগারেও অভিযান চলছে।

কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন হাসপাতালটি পেলেও অনিয়মের কারণে তা বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপরও হাসপাতালটিতে টাকার বিনিময়ে কোভিড-১৯ রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হচ্ছিল।

হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডা. মো. আবুল হাসনাত ও হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদিকে র‌্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ