বগুড়া নিউজ ২৪ঃ বগুড়ায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ১১৮ সেন্টিমিটার উপরে বইছে। আর বাঙ্গালী নদী পানি বিপদ সীমার ২০ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার উপরে। দুটি নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উত্তরাঞ্চলসহ বগুড়ায় দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। জুলাই মাস পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তনীয় থাকবে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে। তবে এ অবস্থা আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, যমুনা ও বাঙ্গালী দুটি নদীতেই পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বন্যা পরিস্থিতি আপাতত এখনই থামবে না। আরও কিছুদিন নদী এলাকার মানুষদের ভোগাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় ১৭ দশমিক ৮৮ মিটার উচ্চতায় ছিল। অর্থ্যাৎ পানি বিপদ সীমার ১১৮ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়।
আর বাঙ্গালী নদীতে বিপদ সীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫৩ মিটার। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় এই নদীতে পানি প্রবাহিত হয় ১৬ দশমিক ০৬ মিটার উপর দিয়ে। অর্থ্যাৎ পানি বিপদ সীমার ২০ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে।
জেলা পাউবো সূত্রে জানা যায়, আম্পানের পরবর্তী সময়ে অতিবৃষ্টি দেখা দেয়। এ বৃষ্টির ফলে উজানের দিক থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে থাকে। এতে যমুনা পরবর্তীতে বাঙ্গালী নদীতে বন্যা দেখা দেয়।
সূত্রটি আরও জানায়, যমুনার ঢলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি, হাটশেরপুর, কাজলা, কর্নিবাড়ি, বোহাইল, চন্দনবাইশা, কামালপুর, কুতুবপুর ইউনিয়ন। তলিয়ে গেছে পাট, আউশ ধানসহ বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত। কৃষকের ক্ষেতের অপরিপক্ক পাট গাছ কাটতে শুরু করেছেন। এ ছাড়া চর এলাকার কিছু কিছু বাড়ি ঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে।