বগুড়ায় কমছে যমুনা ও বাঙ্গালীর পানি

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি ১২৮ সেন্টিমিটার থেকে পর্যায়ক্রমে মোট ৭৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে থাকে।

তবে গত ২৪ ঘণ্টার হিসেব অনুযায়ী এ নদীর পানি আরও কমেছে। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীর পানি এক সেন্টিমিটার কমে বিপসসীমার ২৩ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার সকাল ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী মো. হুয়ায়ুন কবির।

এদিকে যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, রহদহ, বোহাইল ও সারিয়াকান্দি সদরসহ সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার মোট ১৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এবং পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দের লাখ মানুষ।

পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দের লাখ মানুষ। পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।পানিবন্দি এলাকার অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু জায়গা গুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া যমুনা চরে অনেকে ঘর-বাড়ি ভেঙে নিয়ে নৌকায় নদী তীরে চলে আসছেন। বন্যা দুর্যোগ থেকে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে তারা চরের পৈত্রিক ভিটেমাটি ছেড়ে আসছেন।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী মো. হুয়ায়ুন কবির জানান, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। সকাল ৬টার হিসেব অনুযায়ী নদীর পানি ১৭ দশমিক ২২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি জানান, বাঙ্গালী নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। এখন এ নদীতে ১৬ দশমিক ৯ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ এ নদীর পানি বিপদসীমার ২৩ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ