গাবতলী প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার গাবতলীতে অমৃত্য চন্দ্র রায় (৩২) খুনের ঘটনায় মামলা দায়েরের ১৬ ঘন্টার মাধ্যেই সকল আসামী (ঘাতক পিতা-পুত্র ও ভাই) কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের পারকাঁকড়া ভাংড়ীপাড়া গ্রামের এনামুল প্রামানিক (৪০) এর ছেলে রিফাত (১৪) একই গ্রামের উজ্জ্বল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী শিউলী রানি (৩২) কে লোভ-লালসার নজরে দেখতো। এরই এক পর্যায়ে গত ৬ আগষ্ট সকাল সোয়া ৭টায় রিফাত শিউলি রানীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে শ্লীনতাহানী ঘটায়। এ সময় শিউলি রানীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন রিফাতকে আটকে রাখে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রিফাতের বাবা এনামুল দলবল নিয়ে উজ্জ্বল চন্দ্র রায়ের বাড়ীতে হাজির হন। জনগণের রোশানল থেকে বখাটে ছেলেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেস্টা করেন। শিউলি রানীর দেবর অমৃত্য রায় বাধা দিলে এনামুল ক্ষিপ্ত হয়ে
কনুই দিয়ে অমৃত্য রায়েকে আঘাত করে। এতে অমৃত্য রায় গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা অনিল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে ঘটনার দিনেই এনামুল ও তার ছোটভাই ফেরদৌস এবং ছেলে রিফাতের বিরুদ্ধে হত্যা ও শ্লীনতাহানীর একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা ও সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীনের নির্দেশনায় থানার অপারেশন ওসি লাল মিয়া, এসআই আঃ হাই, রুবেল, নিরঞ্জন ও এএসআই মোস্তাকিন এক সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মামলা দায়েরের মাত্র ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে আসামী এনামুল প্রাং ও তার ছেলে রিফাত এবং ভাই ফেরদৌস (২৬) কে সারিয়াকান্দী উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের আমতলীপাড়া হতে গ্রেফতার করে।