গাইবান্ধায় ৯ বছর পর গৃহবধু জীবিত উদ্ধার

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ কথিত হত্যা ও লাশ গুমের শিকার এক গৃহবধুকে ৯ বছর পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে গাইবান্ধা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর জেলার শালবন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই গৃহবধুকে। পুলিশ বলছে আসামীদেরকে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করা হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া গৃহবধু বলছে স্বামীর অত্যাচারে এতদিন পালিয় ছিলেন তিনি।

আজ (শুক্রবার) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, সদর উপজেলার পশ্চিম কুপতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় একই এলাকার রৌশন আরা বেগম রিক্তার। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য রিক্তার উপর অত্যাচার করতে থাকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এ অবস্থায় ২০১১ সালের ২২ জুলাই নিখোঁজ হয় রিক্তা। এ ঘটনায় রিক্তার স্বামী ও তার সহযোগীরা রিক্তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করে রিক্তার বড় বোন মোছা মুক্তা বেগম। মামলায় আসামী করা হয় রিক্তার স্বামী রফিকুল ইসলামসহ ৪ জনকে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, রিক্তার স্বামী যৌতুকের জন্য রিক্তাকে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে হত্য করে লাশ গুম করেছে রিক্তার স্বামী রফিকুল ইসলাম। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন কারাবরন করতে হয় রিক্তার স্বামীসহ অন্য আসামীদের। রিক্তার স্বামী কিছুদিন আগে গাইবান্ধা সদর থানায় এসে জানায় মিথ্যা অভিযোগে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে রিক্তা রংপুরের কোন এক স্থানে আত্মগোপন করে আছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রিক্তার খোজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত রাতে রংপুরের শালবন এলাকা থেকে কথিত মৃত রিক্তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

তবে গৃহবধু রিক্তা জানায়, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সে এতদিন ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। রৌশন আরা বেগম রিক্তা বর্তমানে গাইবান্ধা সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ