বগুড়া নিউজ ২৪ঃ অর্থ আত্মসাতের মামলায় দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের।
আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার পর পর কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাহেদকে সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে আনা হয়।
এর পর দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি দল ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত ১০ আগস্ট দুর্নীতির মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য পদ্মা ব্যাংক বা সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এমআরআই মেশিন কিনতে দুই কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করে মো. সাহেদ। অথচ ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ও ক্রেডিট রিক্স গ্রেডিং নিরূপণ না করেই ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুল হক চিশতী ঋণ অনুমোদন করেন। পরবর্তী সময়ে ওই বছরের ১৫ জানুয়ারির ২১তম সভায় সাহেদের অনুকূলে দুই কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন হয়। যা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ও এমআরআই মেশিন কেনা হয়েছে এমন জাল কাগজপত্র দেখিয়ে ২১ জানুয়ারি শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মহিলা শাখার মাধ্যমে দুই কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। তবে শর্তানুযায়ী এক কোটি টাকার এফডিআর করতে হয় সাহেদকে। কোনো কিস্তি পরিশোধ না করায় ঋণ হিসাবটি অনিয়মিত হওয়ার কারণে ব্যাংকের কাছে লিয়েন থাকা ওই এফডিআর থেকে এক কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়। আর বাকি এক কোটি টাকা অনাদায়ী থেকে যায়, যা আজ সুদসহ দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা হয়েছে। সাহেদ ঘুষ বাবদ ৩৫ লাখ টাকা বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের হিসাব নম্বরে (নম্বর-০১১১১০০০০২৩৬৩) জমা করে। যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতী।