ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় নকল বাল্ব তৈরি ও বিক্রয়ের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৫ টার দিকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে শহরের গওহর প্লাজায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী মাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জনের নাম নুরুল ইসলাম ও ইমরান হোসেন। তারা দুজনে সহোদর ভাই। এবং একসাথে আই আর আর ইলেক্ট্রনিক্স নামে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সম্প্রতি সাবগ্রাম এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযানে গিয়ে গওহর প্লাজায় অবস্থিত এই কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। পরে তথ্যের ভিত্তিতে আই আর আর ইলেক্ট্রনিক্স নামে এই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ওই মার্কেটের চারতলায় প্রতিষ্ঠানে গেলে সেখানে অনিবন্ধিত বিভিন্ন মোড়কে তাদের বাল্ব দেখা যায়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের এসব পণ্যে বিএসটিআইয়ের নিবন্ধন নেই। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভবনটির পাঁচ তলায় প্রতিষ্ঠানের কারখানা পান। সেখানে একাধিক কর্মচারিকে এসব বাল্ব তৈরির করতে দেখা যায়।
আদালত সূত্র আরও জানায়, তাদের বিভিন্ন নামে একাধিক মোড়ক রয়েছে। এসব পন্যের মোড়কে মূল্য, মেয়াদসহ কোনো ধরনের তথ্য উল্লেখ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, মার্কেটের পাঁচ তলায় ছোট দুটি ঘরে প্রায় ১০ জন কর্মচারি কাজ করছেন। তারা সবাই এলইডি বাল্বের বডিতে তার ও অন্যান্য ফিটিংস স্থাপন করছেন। তাদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, এসব মাল ঢাকা থেকে নিয়ে আসেন মহাজন। তারা শুধু বডি সেটিংস করেন। প্রতি পিসের মজুরি এক টাকা করে পান তারা। কিন্তু এসব বাল্ব বৈধ না অবৈধ তা কিছুই জানেন না তারা। কারখানায় বিভিন্ন নামে মোড়ক দেখা যায়। এসব পন্যের মোড়কে বাল্ব সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। উৎপাদনের তারিখ, স্থান, মেয়াদ ছাড়া এসব মোড়ক ছাপানো হয়েছে।
পরে এসব বিষয় আমলে নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠানের দুই মালিককে জরিমানা করেন।
নির্বাহী হাকিম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৭, ৪৪, ৪৫ ও ৫০ ধারায় তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাথে তাদের তৈরি পন্য জব্দ করা হয়।