দাবানল নেভাতে কানাডা-অস্ট্রেলিয়ার দ্বারস্থ ক্যালিফোর্নিয়া

ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দাবানল। এর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। দমকলবাহিনীর ১২ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল নেভানোর জন্য সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দাবানল মোকাবিলায় অভ্যস্ত কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছেও সহায়তা চেয়েছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।

নিজেদের উপকরণ ও কর্মীবাহিনীতে দাবানল মোকাবিলা করা যাচ্ছে না বলে জানালেন তিনি, “দাবানলের ঘটনাগুলো আমাদের উপকরণ ও কর্মীবাহিনীর ওপর চাপ তৈরি করছে।”

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলের বনাঞ্চলে প্রায় ৫৬০টি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় দাবানলের পরিসর বড় আকার ধারণ করেছে।
শুক্রবার উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আগের দিনের তুলনায় কিছু দাবানলের বিস্তৃতি দ্বিগুণ হয়েছে। বিপজ্জনক এলাকাগুলো থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়াকে বড় দুর্যোগপ্রবণ এলাকা ঘোষণা করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গভর্নর নিউসম। পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ সানফ্রান্সিসকোর দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে।
দাবানল নেভানোর কাছে থাকা দমকল বাহিনী’র কর্মীদের মধ্যে ৪৩ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হাজার হাজার বাড়িঘর।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় তাপমাত্রা ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। গত তিন দিনে সেখানে প্রায় ১১ হাজার বার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আর এসব থেকেই দাবানলের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ