বগুড়া নিউজ ২৪ঃ টেকনাফ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চট্টগ্রামে এই মামলা করা হয়।
আজ রোববার (২৩ আগস্ট) এ তথ্য এ তথ্য নিশ্চিত করে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজউদ্দিন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তার অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন টেকনাফ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ (ওসি) ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন,২০০৪ এর ২৬(২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনও উৎস দেখাতে পারেননি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রদীপের স্ত্রী চুমকী কারন দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকার স্থাবর এবং ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৪ টাকার সম্পদের অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকে যাচাই- বাছাইয়ে ৪ কোটি ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৯ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন তারা।
অনুসন্ধানে আরও দেখা যায় যে, চুমকির চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় জমিসহ ৬তলা বাড়ির তথ্য রয়েছে, যা রেকর্ডপত্রে বাবার দেওয়া সূত্রে অর্জিত হয়। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি আসামি চুমকি ও তার স্বামী প্রদীপের মাধ্যমে হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। অথচ চুমকি পেশায় একজন গৃহিণী। পরে তাকে মৎস্য ব্যবসায়ী হিসাবে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে।
অনুসন্ধানে আসামি চুমকি কারনের মোট ৪ কোটি ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৯ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পারিবারিক আয়সহ ৪ লাখ ৪৪ হাজার ১৮ হাজার ৮৬৯ টাকার তথ্য পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ আয়ের উৎসের সাঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। যা তার স্বামী ওসি প্রদীপের ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’র মাধ্যমে অর্জিত।
প্রাথমিকভাবে তা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধি’র ১০৯ ধারায় মামলা হয়।