ষ্টাফ রিপোর্টারঃ যৌতুকের টাকা না পেয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সাথী খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর চাচা আলম শেখ বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলায় নির্যাতিতার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদকে আসামী করা হয় ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জোড়খালি গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে সাথী খাতুন। তিন বছর আগে বিয়ে করেন একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাজু মিয়া। বিয়ের সময় ৭০ হাজার টাকা যৌতুক দেন কনের বাবা। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল।
কিন্ত এক বছর আগে থেকে সাজু মিয়া তাঁর স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে আরো তিন লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলে। কিন্ত সাথীর মা-বাবা অতিরিক্ত যৌতুকের টাকা দিতে রাজী হয়নি।
এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সাথীর ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালায় স্বামী ও তাঁর পরিবার। নির্যাতনের একপর্যায়ে ২৩ আগষ্ট বিকেলে সাথীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ। এতে শরীরের অধিকাংশ স্থান পুড়ে যায় ।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন স্বামীর বাড়ি থেকে সাথীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সাথীর চাচা আলম শেখ বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাজু মিয়া ও তাঁর মা-বাবা এবং বোনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সাজু ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।