কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালুতে কলেজ শিক্ষার্থী আরমান হাসান (২০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সুজন স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওবায়দুলের স্ত্রীর সঙ্গে নিহত আরমানের পরকীয়া প্রেম ছিল। আর এই প্রেমের জেরেই হত্যা করা হয়েছে আরমানকে।
আজ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে জানায় পুলিশ। আরেক আসামী ওবায়দুলের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
নিহত আরমান কাহালু উপজেলার ডুমুরগ্রাম এলাকার আইজুল ইসলামের ছেলে। আরমান গাইবান্ধা কৃষি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল সোমবার ডুমুরগ্রামের একটি পুকুরপাড়ে মাটি খুঁড়ে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে রোববার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন আরমান।
পৃুলিশ বলছে, এই হত্যার নেপথ্যে আরও ঘটনা থাকতে পারে। এই কারণে ওবায়দুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, ওবায়দুল খানের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেম ছিল নিহত আরমানের। এই কারণে পরিকল্পিতভাবে আরমানকে হত্যা করা হয়। শ্বাসরোধ করে আরমানকে হত্যার পর তার লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। নিহত আরমানকে ডেকে নিয়ে আসেন ওবায়দুলের সহযোগি সুজন। মঙ্গলবার আদালতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছেন সুজন।
এর আগে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ওবায়দুল ও তার সহযোগী সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল কাহালু থানা পুলিশ।
কাহালু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন কাদির জানান, শুধু পরকীয়া না; এই হত্যাকান্ডের সাথে আরও অন্য ঘটনা থাকতে পারে। তা বিষদভাবে জানার জন্য মূল হত্যাকারী ওবায়দুলের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মুঞ্জর করেছেন আদালত।
ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ওবায়দুলের স্ত্রীর সাথে আরমানের পরকীয়া প্রেম ছিলো। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওবায়দুল তার পুকুর পাহাদার সুজনকে দিয়ে আরমানকে পুকুর পাড়ে ডেকে নেন। সেখানে ওয়াদুল ও তার আরো কয়েকজন সহযোগী মিলে আরমানকে মারপিট করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে স্থানীয় একটি কবরস্থানের দেওয়াল ঘেষে পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দেওয়া হয় আরমানের লাশ।