বগুড়ায় অস্থির কাঁচাবাজার উর্ধ্বগতি বাজার মূল্য

তুষার রহমানঃ রান্নাবান্না আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এই অংশ টিকে ঘিরে রয়েছে অত্যন্ত দরকারি পণ্য পিয়াজ কাঁচা মরিচ আদা রসুন সাথে রয়েছে সবজি । গত বছরের ন্যায় বগুড়া বাজারে পেয়াঁজ ও কাঁচা মরিচের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে তেমনি সবজির দামও, গত প্রায় দু’মাস হলো কেউই আর নিজের চাহিদা মতাবেক কেনা কাটা করতে পারছেনা, এ সময়ের মধ্যে কয়েক দফায় দাম বেড়েছে পেয়াঁজ ও কাঁচা মরিচ ও নিত্যদিনের অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের। ধীরে ধীরে একসাথে বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে । বাজার মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতা কমে যাওযায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করছে বিক্রেতারাও পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। বাজারে সব ধরনের সবজির দেখা মিললেও দাম বেশ চড়া। সবজি বাজার করা খানিকটা চাপের হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের কাছে, কাঁচা বাজার ব্যবসায়ি মো: মোকলেছ বলেন, বন্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সবজি বাজারের ্এমন অবস্থা। তবে আর মাস খনিকের মধ্যে দাম হাতের নাগালে আসতে পারে বলে তিনি জানান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি জিবি মো: লতিফ সরকার বলেন, করোনাকালীন মাসিক আয় আর বর্তমান বাজারে য়ে ব্যায় তার মধ্যে অনেক ফারাক। আয় কমে যাওয়ার কারণে সংসার খরচ ও কমে আনতে হয়েছে তিনি বলেন গত কয়েক মাস হলো চাল তেলসহ কাঁচাসবজির দাম ্একেবারেই উধ্বমুখি । গত কাল শহরের ফতেহ আলী বাজারসহ আশেপাশের বাজারগুলো ঘুরে নিত্যপণ্যের উর্ধমুখিতা লক্ষ করা গেছে, বেশির ভাগ বাজারে প্রতি কেজি আলু মান ভেদে ৩৫ তেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, গত পনের দিন আগেও দেশি জাতের পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দু’ একটি পণ্য ছড়া বাজারের বেশিভাগ পণ্যই ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখাযায়। কাঁচা মরিচের কেজি ১৬০ টাকা, ডিমের হালিতে দুই টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রয় হতে দেখা যায়, প্রায় মাস দু’য়েক আগে দেশের বাজারে বেড়ে যায় সব ধরণের চালের দাম, বর্তমানে সেই বর্ধিত দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। বিআর-২৮ চাল ৪২ থেকে ৪৩,টাকা, বিআর ২৯ চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, কাটারিভোগ ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৪ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচেছ এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ৯৫ থেকে ৯৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল দেখা যায় । এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা আগে চেয়ে ১০/২০ টাকা বেশি,পাকিস্তানি মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দেশি মুরগি ৩৪০টাকা থেকে ৩৫০টাকা ফতেহ আলী বাজারের চাল ব্যবসায়ী অখিল চন্দ্র বলেন মোকামেই চালের দাম বেশি দেশে চালের বাজার নিয়Íণ করেন মিল মালিকরা তারা চালের যে দাম নির্ধারন করে দেন সব খানে সেই দরেই তা বিক্রি করতে হয়। বাজার করতে আসা ক্রেতা মো: ছাদিকুর জানান আসলে একবার কোন জিনিষের দাম বেড়ে গেলে কমতে চায় না। সরকার বাজার মনিটরিং কার্যক্রম নিয়মিত অব্যাহত রাখলে গ্রাহকদের এরকম বিপদে পড়তে হয় না। আমরা পরিস্থিতির শিকার। বাজারে যেমন দাম চলে, আমাদের সেরকম মেনে নিতে হয়। আসলে যখনই বাজারে কোন পণ্য টান পড়ে তথনই এটি টিসিবির মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা অতি জরুরী।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০