ষ্টাফ রিপোর্টারঃ অবৈধভাবে জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা এবং চাকুরি দেয়ার নামে অর্থআত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছেবগুড়া জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুরুল হক মঞ্জুর বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এসব অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই দলের কৃষকলীগ নেতা শাহিন কাদির জোয়ারদার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে শাহিন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মুল্যায়ন না করে আমাকে বহিষ্কার করে। জেলার একজন সদস্যকেও বহিষ্কার করার এখতিয়ার তাদের নাই। তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ব্রাক ব্যাংকের ঋন খেলাপির জন্য মুঞ্জর ৬ মাসের জেল হয়। আমি তাকে ৫ লাখ টাকা ধার দিলে জামিনে মুক্তি পায়। সে টাকা আজও ফেরত দেয়নি। ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর আমার স্ত্রীকে চাকরী দেয়ার নাম করে সাড়ে ৩ লাখ দাবি করে। ৭ দিনের মধ্য ডিসি অফিসে নিয়োগ দিবে। আমি আমার স্ত্রীর গহনা বন্ধকী রেখে টাকা দেই। কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হলেও চাকরী তো দুরের কথা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয় উপ-সচিবের স্বাক্ষর জাল করে কাহালু উপজেলার সেলিম এর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাকে ভুয়া জয়েনিং লেটার দিয়েছে। নিরুপায় হয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে ১ মাসের মুচলিকা দিয়ে সময় নেয়। শাহীন কাদির সংবাদ সম্মেলন আরও বলেন, জেলা কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সময় ক্ষেপন করে। আর এই জন্য আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মাকছুদুল হাসান রুহেল, মামুনুর রশীদ রিপন, জামিল উদ্দিন প্রমুখ।