নন্দীগ্রামে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হতে চায় আঞ্জুয়ারা বেগম

নন্দীগ্রাম থেকে আব্দুর রউফ উজ্জলঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হতে চান আঞ্জুয়ারা বেগম (৪০)। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে কাথম (বেড়াগাড়ী) আঞ্জুয়ারা বেগমের হাঁসের খামারে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অভাব-অনটনের সংসারে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে গত ২ বছর আগে ১০০টি হাঁস দিয়ে শুরু করেন ছোট একটি হাঁসের খামার। অর্থনৈতিক দৈন্যতার মধ্যেও খেয়ে না খেয়ে পরিচর্যা করেন খামারে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আঞ্জুয়ারা বেগমকে। এভাবেই শুরু হয় আঞ্জুয়ারা বেগমের এগিয়ে চলার গল্প। বর্তমানে তার খামারে হাঁসের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। এখন তার খামারে দুই জাতের হাঁস রয়েছে, বেলজিয়াম (সাদা জাতের) এবং ক্যাম্বেল জাতের হাঁস। তিন মাস বিরতিহীনভাবে প্রতিদিন হাঁসগুলো গড়ে ডিম দেয় ১০০টি। প্রতিটি ডিম ১০ টাকা হিসাবে বিক্রি করে পান ১০০০ টাকা। এছাড়া তিন থেকে চার মাস পর পর প্রতিটি পরিপক্ক হাঁস বাজারে বিক্রি করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করেন। হ্যাচারি থেকে হাঁসের বাচ্চা কিনে এনে পালন করে প্রতিটি হাঁস পরিপক্ক হতে খাদ্য ও ওষুধ বাবদ সর্বসাকুল্যে খরচ হয় প্রায় ১৫০/১৭০ টাকা। হাঁস খামারি আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, অভাবের সংসারে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে হাঁস পালন করে কিছুটা হলেও সংসারের অভাব কাটিয়ে উঠেছি। দারিদ্রতার মধ্যে নিজে খেয়ে না খেয়ে হাঁসগুলোকে সন্তানের মতো পরিচর্যা করছি। আল­াহ মুখ তুলে দেখেছেন, তাই সংসারে কিছুটা হলেও স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। কেটে গেছে অভাবের সেই কঠিন দিনগুলো। অতীত মনে করে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আঞ্জুয়ারা বেগম আরও বলেন, সরকারী সহযোগিতা পেলে আমার হাঁসের খামার আরো বড়সরো পরিসরে করতে পারবো। নিজে তো পড়াশুনা করতে পারিনি, তাই ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানোসহ পরিবারের সবধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারবো।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০