সিংড়া প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়া পৌর শহরে হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে বন্যার পানি।নাটোরের সিংড়া পৌর শহরে হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে বন্যার পানি।
আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে হঠাৎ করেই চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া পৌর শহরে হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে বন্যার পানি। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের প্রধান সড়ক, ব্যবসা কেন্দ্র, আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন পর্যন্ত অর্ধশত পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জরুরি ভিত্তিতে পৌর এলাকার বানভাসী ৫ শতাধিক পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস। বন্যা কবলিত পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘পৌরসভার কমবেশি সকল ওয়ার্ডেই বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ৬ নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ। এই ওয়ার্ডে মানুষের শোবার ঘর পর্যন্ত পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া পৌরসভার হাটবাজারগুলো প্লাবিত হওয়ায় কেনাবেচা প্রায় বন্ধ রয়েছে। আমরা সকাল থেকে ত্রাণ বিতরণ ও দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কাজ করছি। সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।’
নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫০ পরিবারের মাঝে নগদ ২০০ টাকা এবং ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। খাদ্য সহায়তা আরও বাড়ানো হবে।
এদিকে, পৌর এলাকার বাইরে সিংড়ার নিচু এলাকাগুলোতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। এতে মাঠে থাকা আউশ ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। তাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের সামনে রাস্তাটি তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে। উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো পানির নিচে চলে যাওয়ায় আবারো ভাঙন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।