বগুড়া নিউজ ২৪ঃ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আগামী ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের একটি এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, এ প্লাস ক্যাম্পেইনের জন্য ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ কোটি ৯৩ লাখ। ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সর্বমোট কেন্দ্র ১ লাখ ২০ হাজার, স্বাস্থ্যসেবী প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরোও জানান, ক্যাম্পেইনের দিন শিশুকে ভরপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কেঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরের সবটুকু তরল ওষুধ খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। কোনো শিশু অসুস্থ থাকলে তাকেও এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। একসময় অপুষ্টিজনিত কারণে রাতকানা রোগের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ থাকলেও ১৯৭৪ সালে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরুর পর বর্তমানে ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ প্রতিরোধের স্বার্থে কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক সতর্কতা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।