চরফ্যাশনে জাল সনদে ২৯ বছর প্রধান শিক্ষক

চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশনে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বিতর্কিত স্কুল শিক্ষক মোঃ গোলাম হোসেন সেন্টুর জাল সনদ সংক্রান্ত বিভাগীয় মামলার শুনানি আজ ৪ঠা অক্টোবর রোববার প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, দক্ষিন চর মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম হোসেন সেন্টু উত্তর চাচড়া মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ১৯৯১ সালের আলিম পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট সৃষ্টি করে ৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন । অথচ ওই মাদ্রাসায় ১৯৯১ সালে মো: গোলাম হোসেন নামে কোন ছাত্র আলিম পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন নাই। এই কারণে গোলাম হোসেনের গেজেট বাতিল সহ এযাবৎ উত্তোলিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা ও জাল জালিয়াতির সু বিচার চেয়ে গত ২৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেন দক্ষিণ মঙ্গল গ্রামের শাহেদ আলী। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার উক্ত অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ২২৯৪/৩ স্বারকে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেন। পুনরায় ১৯ আগষ্ট ১৯ তারিখে ১৬৪৪ স্বারকে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা, বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক সরকারি কর্মচারী ( শৃংখলা ও আপীল) বিধি মালা ২০১৮ এর ৪ (৩) ধারা মোতাবেক গোলাম হোসেন সেন্টুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেন। বিভাগীয় উপ-পরিচালক ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে ১১৩৩ স্বারকে অভিযোগ গঠন ও ১ম কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। অদৃশ্য কারণে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০ তারিখের ১১৬৯ স্মারকের আলোকে ওই মামলার আজ ৪ঠা অক্টোবর রোববার প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক এর কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষার বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারুক এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মোঃ গোলাম হোসেন সেন্টু বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ