বগুড়া নিউজ ২৪ঃ কলা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকেন। তবে কলার চিপস কি কখনো খেয়েছেন? আলুর চিপস যদিও বেশি সুস্বাদু, তবে তা দ্রুত ওজন বাড়ায়। অন্যদিকে কলার চিপস খেলে ওজন কমে তরতরিয়ে।
পাকা কলা স্লাইস করে কেটে নারিকেল বা সরিষার তেলে ভেজে এটি তৈরি করা হয়। পছন্দসই স্বাদ পেতে লবণ, লাল মরিচ গুঁড়া এমনকি কিছু চিনি দিয়ে ছিটিয়ে দিতে পারেন।
ঘরে তৈরি কলার চিপস খুবই স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু। বিকালের নাস্তায় এই চিপস খেতে পারে ছোট থেকে বড় সবাই। এই চিপস পটাসিয়াম, খনিজ সরবরাহ করে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত কাজ করে।
কলায় থাকা পুষ্টিগুণ-
কলায় প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা হজম ব্যবস্থা ঠিক রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সহায়তা করে। এটি ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে কলার চিপস এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রথম পছন্দ এই চিপস। ক্যালোরি কম সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ এই চিপস দ্রুত ওজন কমায়।
প্রোটিন, ফাইবার বা স্বাস্থ্যকর কার্বস সমৃদ্ধ পুষ্টিকর নাস্তা ক্ষুধা কমাতে সহয়তা করে। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ স্ন্যাকস বাড়িতে প্রস্তুত করলে তা দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়।
কলার চিপস
যেভাবে তৈরি করবেন কলার চিপস-
প্রথমে পাকা কলা স্লাইস করে কেটে নিন। এরপর সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া ও লবণ ছিটিয়ে দিন। ডিপ প্যানে পর্যাপ্ত এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল বা সরিষার তেল গরম করুন। কেটে রাখা কলার স্লাইসগুলো দিয়ে অল্প আঁচে ভেজে নিন। মুচমুচে হতেই নামিয়ে টিস্যুর উপর রাখুন। এতে অতিরিক্ত তেল টিস্যু শুষে নেবে। তৈরি হয়ে গেল কলার চিপস।
পুষ্টিবিদরা যা বলছেন-
কলার চিপস যদি ডিপ ফ্রাই করা হয়, তবে এটি ক্যালোরির অতিরিক্ত লোড রাখতে পারে। যা কলা এবং নারকেল তেল উভয়ের পুষ্টিগুণকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যদি কলার চিপসগুলো এয়ার-ফ্রায়ার ব্যবহার করে বেকড করা হয় বা নূন্যতম তেল দিয়ে তৈরি করা হয়, তবে এটি একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হিসেবে উপভোগ করা যায়।
কলার চিপস গুল্ম এবং মশলা দিয়েও বেকড করা যায়। কলার চিপস উপভোগ করার সর্বোত্তম উপায় হলো- সেগুলো বাড়িতে প্রস্তুত করা। প্যাকেজযুক্ত কলার চিপসগুলোতে চিনির সংযোজন বা উপ-স্ট্যান্ডার্ড রান্না তেলের ব্যবহার থাকতে পারেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া