বগুড়া নিউজ ২৪ঃ প্রাচীন কাল থেকেই ভারতবর্ষে কলার গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দু ধর্মে যে কোনো পূজা-অর্চনায় কলার দেখা মিলবেই। তাইতো প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে এই কলার ব্যবহার। বিশ্বে যত ধরনের সুমিষ্ট ফল আছে, কলাকে ধরা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট সৈন্যবাহিনীসহ যখন ভারতে আসেন, ইউরোপিয়ান হিসেবে তারাই প্রথম কলার দর্শন পান। তবে সারাবিশ্বে কলাচাষ ছড়িয়ে পড়ে মূলত ১৫১৬ সালের দিকে। সে সময় ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা কলাচাষ শুরু করে। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ আমেরিকায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঊনবিংশ শতক পর্যন্ত কলা ছিল সবচেয়ে দুর্লভ এবং দামি খাবার।
তবে ভারতবর্ষে কলার জনপ্রিয়তা বাড়ে শুধু এর সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে। ভারতবর্ষে কলাগাছকে খুবই পবিত্র মনে করা হয়৷ কলা এমনই এক ফল, যার পুরো গাছটাই হিন্দু উপাসনায় ব্যবহৃত হয়। কার্যত কলাগাছের কোনো অংশকেই ফেলে দেওয়া যায় না। প্রাচীন আর্য সমাজে কদলিবৃক্ষের ফল খাওয়া হত, মোচা দিয়ে তরকারি রান্না করা হত, থোড় কাজে লাগত আয়ুর্বৈদিক ওষুধ তৈরিতে। কলাগাছের বাকল গবাদিপশুর আহার ছিল। কলাপাতা পুড়িয়ে ক্ষার তৈরি করে তাতে কাপড়কাচা, সবই চলত। এমন এক উপযোগী বৃক্ষকে পবিত্র জ্ঞান করতে শুরু করে আর্যরা। তারপর থেকে তা ব্যবহৃত হতে শুরু করে পূজা-অর্চনায়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দেবগুরু বৃহস্পতির সঙ্গে তুলনা করা হয় কলাগাছকে৷