বগুড়ায় ইট ভাটার পেড়ানো হচ্ছে কাঠখড়ি

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ শীতকালের আগমনে ইটভাটা গুলোতে শুরু হয়েছে ইট পোড়ানোর মৌসুম। বগুড়ার শাজাহানপুরের ইটভাটা গুলোতে পোড়ানো হচ্ছে শত শত মণ জ্বালানী কাঠ। ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অমান্য কয়লার বদলে টনকে টন জ্বালানী কাঠ পোড়ানো হলেও প্রশাসনের নির্বাক। প্রশাসনের নীরবতার সুযোগ নিয়ে অবৈধ ইটভাটা মালিকেরা মেতে উঠেছেন কাঠ পোড়ানো প্রতিযোগিতায়।

খোঁজ জানা গেছে, শাজাহানপুর উপজেলায় প্রায় অর্ধশত ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে মাদলা চাঁচাইতারা এলাকায় ৯টি ইটভাটা, সুজাবাদ, খোট্টাপাড়া খলিশাকান্দি এলাকায় ২০টি ইটভাটা রয়েছে। এ ছাড়াও নয়মাইল এলাকায় পাঁচটি, লক্ষিকোলা এলাকায় পাঁচটি এবং কাজীপাড়া এলাকায় তিনটি ইটভাটা রয়েছে।

ইট পোড়ানো (সংশোধীত) আইন ২০১৮ অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং এলজিডি সড়কের পাশে, কৃষি জমি, জনবসতি এলাকা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু উপজেলার কোন ইটভাটার মালিক এই আইন মানতে না পারায় নবায়ন দিচ্ছে না পরিবেশ অধিদপ্তর। ফলে অবৈধভাবে চলছে উপজেলার সমস্ত ইটভাটা। আর এই সমস্ত ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানী কাঠ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতেগোনা দুই একটা ছাড়া অধিকাংশ ইটভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হয়েছে। ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অমান্য করে প্রতিটি ইটভাটায় শত শত মণ কাঠখড়ি জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, ইট পোড়ানোর শুরুতেই জ্বালানী কাঠখড়ি ব্যবহার করতে হয়। পরবর্তীতে ব্যবহার করতে হয় না। আর আইন মানতে গেলে বগুড়া জেলায় হাতেগোনা ৮-১০ টি ইটভাটা ছাড়া কোনো ইটভাটা চলবে না।

বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, শাজাহানপুর উপজেলার কোনো ইটভাটার ছাড়পত্র নেই। তাই সমস্ত ইটভাটা অবৈধ। ইটভাটায় জ্বালানী কাঠ পোড়ানোর কোনো নিয়ম নেই। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ