সিরাজগঞ্জে শীতের শুরুতেই কদর বেড়েছে ভাপা পিঠার

তারিকুল আলম,সিরাজগঞ্জঃ বাতাসে হিমেল অনুভূতি ও সকালের দূর্বা ঘাসের উপর শিশির ফোটা, জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে চলে এসেছে শীত। সিরাজগঞ্জে শীতের আমেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কদর বেড়েছে নানা রকমের শীতের পিঠার। পিঠার দোকানগুলোতে ভীড় জমতে শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। ভোর ও সন্ধ্যায় সেখানে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় জমছে মানুষের।
সিরাজগঞ্জ শহর ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মোড়ে ও পাড়ামহল্লায় হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের লোকজন গড়ে তুলেছেন শতাধিক পিঠার দোকান। এসএস রোড, চৌরাস্তা, খলিফা পট্টি, মজিব সড়ক, বড় বাজার, কালিবাড়ী, মতিন সাহেবের ঘাট, একডালা, বাজার ইষ্টিশন, প্রভৃতি এলাকায় এসব পিঠার দোকান রয়েছে। সকাল ও সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা ভাপাপিঠার স্বাদ পেতে অনেকেই ভিড় করছে সেখানে। মূলত সেখানে ভাপা ও চিতইপিঠা হচ্ছে। প্রতিটি পিঠার দাম ৫-১০ টাকা। ভাপা পিঠাতে খেজুরের গুড় ও নারকেল দেয়া হচ্ছে। অনেকে আবার চিতইপিঠার মধ্যে ডিম দিচ্ছেন। এই পিঠা প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রিকশাচালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার দোকানে ভিড় করছে। অনেকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।দরিদ্র লোকজন এসব ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান দিয়েছেন। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও দোকানে পিঠা বিক্রি করছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা বাড়তি আয় করতে পারছেন।
পিঠার বিক্রতা হারুন জানান, প্রতি শীতের মৌসুমে তিনি পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রায় ১৫০০-১৭০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এ থেকে খরচ বাদে ৫০০-৭০০ টাকা লাভ হয়। শীতের শুরুতে ক্রেতা কম থাকলেও শীত বাড়ার সাথে ক্রেতাও বাড়বে।সুজন বলেন, আমি দিন মজুরি হিসাবে দোকানে কাজ করি।  শীতের মৌসুমে  আমি পিঠা বিক্রয় করি। অল্প মুনাফায় বের্শি লাভ, কষ্ট অনেক কম। এতে বাড়তি আয় করতে পারছি।পিঠা খেতে আসা সজিব বলেন, বিকাল হলে চপ,সিঙ্গরা,পুড়ি সহ টুকটাক কিছু খেতাম। কিন্তু ভাপা পিঠা পাওয়ার পর থেকে আর এগুলো না খেয়ে এখন থেকে পিঠা কিনে খাই। শীতর ভাপা পিঠা খেতে ভালোই লাগে
রুবেল জানান, প্রায় সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এখান থেকে পিঠা খান তিনি। খুব ছোট বেলায় গ্রামের বাড়িতে সকলে একসাথে পিঠা খেতাম। কিন্তু কর্ম ব্যস্তুতার জন্য এখন আর গ্রামের বাড়ি যেয়ে সেই আগের মত পিঠা খাওয়া হয়না। কিন্তু পিঠার স্বাদ এখান থেকেই নেই।
Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ