যে কারণে শোকজ পেলেন শওকত-হাফিজ

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ  দলের দুই ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার রাতে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, শওকত মাহমুদ দলের নাম ব্যবহার করে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করে সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডের সুস্পষ্ট অভিযোগ পেয়েছে বিএনপি। আর বারবার সতর্ক করার পরও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে অবজ্ঞা করে কথা বলেছেন বলে অভিযোগ দলটির।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেনো তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেজন্য শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘন্টা এবং হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে ৫ দিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত নোটিশ দুটি সোমবার সন্ধ্যা ৭টার পর কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।

 

১/১১ এর সময়ে দলকে বিভক্ত করে মহাসচিব হওয়ার পরও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমা করে আবারো ভাইস চেয়ারম্যানের মত পদ দিয়েছেন হাফিজকে।

এরপরও বিভিন্ন সময়ে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দায়িত্ব দেয়া হলে তা করতে অপরাগতা প্রকাশ করা, কৃষক দলের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি তা করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন সময়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অবজ্ঞা করে বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে দাবি করেন রিজভী আহমেদ।

এসকল অভিযোগের কারণেই মূলত তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি৷ আর এই নোটিশের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলেও জানান রিজভী।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে হাফিজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি  জানান, এখনও এমন কোন চিঠি পাননি তিনি। এমন অভিযোগ সম্পর্কে আগে থেকে তিনি জানতেনও না বলে জানান হাফিজ।অন্যদিকে শওকত মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রী ছিলেন।

শওকত মাহমুদকে ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। এর আগে তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।

শওকত মাহমুদ বিএনপির সমর্থিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএনপি সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদেরও ভারপ্রাপ্ত আহবায়কও তিনি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ