স্টাফ রিপোর্টারঃ গতকাল দুপুর ১২টায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ কারিগরি
শিক্ষা, বোর্ড এ্যাফিলিয়েটেড সোসাইটি ফর মেডিকেল টেকনোলজি
ইন্সটিটিউশনস্ধসঢ়; (বামি) উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টিএমএসএস মেডিকেল
ইন্সটিটিউটের রেজিষ্ট্রার রোকন উজ জামান সাজু। সাংবাদিক সম্মেলনে
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর কারনে
মানবিক দিক বিবেচনা করে ২০২০-২১ সেশনে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল
টেকনোলজি ও সার্টিফিকেট-ইন-মেডিকেল কোর্সে ভর্তির দাবী ও সরকার
ঘোষিত “ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট” বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয়। বিশেষ করে
এই কোভিড-১৯ কালীন সময়ে গত ১০মাস ধরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ
বন্ধ। ইতিমধ্যেই অন-লাইনে সরকারের জারিকৃত সকল কর্মকান্ড এবং শিক্ষার্থীদের
পড়াশুনার জন্য সকল ব্যবস্থা নিয়েছি। একদিকে যেমন অর্থ কষ্ট তার পাশাপাশি
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কিছু সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমানে ছাত্র
ভর্তি এখনও প্রকাশ না করায় আমরা চরম বিপদের মাঝে অবস্থান করছি। বর্তমানে
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আনুমাণিক ৪৫০টির অধিক শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার বর্তমান ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২৫হাজার।
আমরা যতদুর জেনেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একত্রিত হয়ে “ওয়ান
আমব্রেলা কনসেপ্ট” ঘোষণা করে সরকার তা অনুমোদন করে। তার প্রেক্ষিতে গত
১২ই ডিসেম্বর মেডিকেল ষ্টেট ফ্যাকাল্টি ও কারিগরি বোর্ডের পাশকৃত ছাত্ররা
একযোগে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তারা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ও
চিকিৎসাখাতকে সহযোগিতা করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিগত দিনে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড ও ষ্টেট
ফ্যাকাল্টির বিভিন্ন মামলায় আদালত কর্তৃক বোর্ড ব্যতীত ষ্টেট ফ্যাকাল্টির
কোন বৈধতা নেই বলে রায় ঘোষনা করে। এবং সেখানে পর্যবেক্ষন থাকে যে যতদিন
পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষাবোর্ড ও ষ্টেট ফ্যাকাল্টি মিলে একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা
না হবে ততদিন পর্যন্ত তারা ছাত্র ভর্তি ও অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করবে। এই
কোভিড-১৯ পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বর্তমান কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের
চেয়ারম্যান কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং সংগঠনকে না জানিয়ে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
নিকট জানিয়ে দেয় যে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মেডিকেল টেকনোলজি আর
চালাবে না। ফলে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ৪৫০টি প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ভর্তি
হওয়া ছাত্র এবং বর্তমানে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করায় চরম দুর্দশায় পড়েছে।
সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাগণ বহু কষ্ট ও মূলধন বিনিয়োগ করে কলেজ
প্রতিষ্ঠা করে আজকে তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন জবাবদিহিতার
সম্মুখিন হচ্ছে। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই ষ্টেট ফ্যাকাল্টি তাদের ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ করেছে। তারা কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের
ভর্তি নেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলেনি। এছাড়া মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে উদাসীন।
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি সভা হওয়ার কথা ছিল সেটিও বিগত দিনে হয়নি। আমরা
সিদ্ধান্তহীনতায় ৪৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং সেইসাথে ৩হাজার
শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানের চরম অনিশ্চয়তায় ভূগছি। আমরা অবিলম্বে
সরকার তথা আন্তঃমন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কে জানাচ্ছি যে কারিগরি
শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ কি হবে। আমরা সরকার ঘোষিত “ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট” এর
বাস্তবায়ন চাই। সেইসাথে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ভর্তি
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য আহবান জানাচ্ছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্সটিটিউট অব
ইনফরমেশন মেডিকেল টেকনোলজি বগুড়ার পরিচালক সবুর শাহ্ধসঢ়; লোটাস, নোবল
ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজির সৈয়দ সাইফুল ইসলাম দেওয়ান সহ
সাইক ইন্সটিটিউট, প্রাইম ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি বগুড়া,
একাডেমীক হেলথ সাইন্স অব মেডিকেলন টেকনোলজি’র উদ্যোক্তাগণ। এর আগে
প্রধানমন্ত্রী বরাবরে বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উদ্যোক্তরা একটি স্মারক লিপি
প্রদান করে।