গোপনে ইসরায়েল সফর করেছেন ইমরান খানের প্রতিনিধি!

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা গতমাসে গোপনে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল সফর করেছেন। ইসলামাবাদের সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ‘প্রচণ্ড চাপ’ উপেক্ষা করছে বলে যখন ইমরান খান জোর গলায় বলে আসছেন তখনই এ ধরনের খবর সামনে এলো।

নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে ‘ইসরায়েল হাইয়োম’সহ আরও কিছু পত্রিকা দাবি করেছে, গত ২০ নভেম্বর ইমরানের ওই উপদেষ্টা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ইসলামাবাদ থেকে লন্ডন গেছেন এবং পরে সেখান থেকে একই এয়ারলাইন্সের বিএ১৬৫ নম্বর ফ্লাইটে তেল আবিবে পৌঁছেছেন। ইসরায়েলি পত্রিকাগুলো যদিও ইমরান খানের ওই উপদেষ্টার নাম প্রকাশ করেনি।

ওই উপদেষ্টা কয়েকদিন তেল আবিবে অবস্থান করে বেশ কয়েকজন ‘পদস্থ’ ইসরায়েলি কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসব সাক্ষাতে তিনি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, ইমরান খান তেল আবিবের সঙ্গে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ‘কৌশলগত সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন।

এ দিকে লন্ডনভিত্তিক ইসলামিক থিওলজি অব কাউন্টার টেরোরিজমের (আইটিসিটি) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক নূর দাহরি এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) তিনি দাবি করেছেন, ইমরান খানের ওই উপদেষ্টা তার ব্রিটিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে তেল আবিব সফর করেন।

তার মতে, আরব দেশগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান শীতল সম্পর্ক থেকে ইসলামাবাদকে বের করে আনার পাশাপাশি আরও বেশি কিছু ‘অর্জনের’ বিনিময়ে ইমরান খান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছেন।

ইসরায়েলের নিউজ চ্যানেল আই২৪কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাহরি দাবি করেন, মার্কিন সরকার পাকিস্তানের ওই উপদেষ্টার তেল আবিব সফর অনুমোদন করেছিল বলে তেল আবিব বিমানবন্দরে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত গবেষক দাহরি বলেন, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তেল আবিবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের এক গোপন বার্তা পৌঁছে দেন।

এরপর তিনি ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বার্তা পৌঁছে দেন। দাহরি বলেছেন, তুর্কি ব্লক থেকে বেরিয়ে এসে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য পাকিস্তানের ওপর আরব দেশগুলোর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ঐতিহ্যগতভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং ইসলামাবাদ রিয়াদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে তেল পাওয়া ছাড়াও বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা লাভ করে থাকে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যুতে পাকিস্তান তুরস্কের ঘনিষ্ঠ হয়েছে, যা রিয়াদ ও আবু ধাবির সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ