নন্দীগ্রামে বাম্পার ফলনের আশায় সরিষা চাষে ঝুঁকেছে কৃষক

আঃ রউফ উজ্জলঃ শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার
নন্দীগ্রামে বাম্পার ফলনের আশায় সরিষা চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। উপজেলার
৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মাঠে মাঠে এখন হলুদের সমারোহে
সুশোভিত। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার অত্র উপজেলায়
সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫০০ হেক্টর এবং অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী
এবছর এ উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছে ৩৯০০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬০০০ মেট্রিক টন। সরোজমিনে উপজেলার
বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায় এবছর তুলনামূলক ভাবে অন্য বছরের চেয়ে
সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের সিংড়া
খালাস গ্রামের আব্দুল মজিদ তার ৫বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছে।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছর সরিষার গাছ ভাল হয়েছে তাই আশা
করছি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলনও বেশি হবে। যদি বাজারে ভাল দাম
পাওয়া যায় তাহলে সরিষা আবাদ করে আমরা বেশি লাভবান হবো। একই ভাবে
২নং নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের ভাদুম গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান ও
জাহাঙ্গীর আলম যথাক্রমে তাদের ৮বিঘা জমিতে দেশী ও উন্নত জাতের
সরিষা আবাদ করেছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া
অনুকুলে থাকায় এবছর সরিষা আবাদ বেশ ভাল হয়েছে। আশা করছি ভাল দাম
পাবো। তারা আরো বলেন, সরিষা আবাদ শেষে একই জমিতে বোরো চাষ
করেও সমান ফলন পাওয়া যায়। এতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহারও কম করতে হয়।
অনুরুপ ভাবে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিশ গ্রামের কৃষক
ইয়াকুব আলী তার ৫বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষা আবাদ করেছে।
সে বলে, এবছর আমার সরিষা আবাদ খুব ভাল হয়েছে তাই ভালো দাম পাওয়ার
আশায় আমি প্রতিনিয়ত আমার সরিষা ক্ষেতের পরিচর্যা করে যাচ্ছি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবুর সাথে কথা বললে তিনি
বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা জুড়ে সরিষার আবাদ বেশ ভাল হয়েছে। আমার
নির্দেশনায় উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে
সরেজমিনে সরিষা ক্ষেত পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ
প্রদান করছেন। তাই কৃষক সরিষা চাষে ঝুঁকেছে এবং ভালো ফলনের
আশায় বুক বেঁধেছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ