শেরপুর ব্যাংকের টাকা ভূয়া ভাউচারে আত্মসাত করার অভিযোগ

শফিকুল ইসলাম শফিকঃ বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার নামে
বরাদ্দকৃত (এডিপি) সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকার মালামাল ক্রয়ের টাকা
আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল ২৩ডিসেন্বর বুধবার শেরপুরের মুন্সিপাড়া-ঘোষপাড়ার বাসিন্দা প্রীতম
কন্ট্রাকশন নামক ফার্মের বিশেষ শ্রেনীর ঠিকাদার আহসানুল হক এমন অভিযোগ
করেন। বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া ওই লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন,
আমি শেরপুর পৌরসভার বিশেষ শ্রেনীর ঠিকাদার। গত বছর ১৫অক্টোবর ই-টেন্ডার
নোটিশ নং-০২/২০১৯ আইডি নং-৩৬৯১৪০ শেরপুর পৌরসভার নিজস্ব কাজের জন্য
মনোনীত হই। পৌর এলাকায় মশা নিধনের জন্য ষ্টীলবডি হেবি ডিউটি ফোকার
মেসিন,স্প্রে-মেসিন, পেট্রোল,মেডিসিন, দৈনিক শ্রমিক এবং
আনুসাংগিক মালামাল ক্রয়/ সরবরাহ করার জন্য দরপত্রে অংশ গ্রহন করি। এরপর আমি
উক্ত কাজের সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হলে টেন্ডার কমিটির
নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম শফিকুল ইসলাম শেরপুর পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার
স্বাক্ষরিত কার্যাদেশ পত্র প্রদান করেন। তিনি গত বছর ১১ডিসেন্বর আমাকে
চাহিদা মোতাবেক উল্লেখিত মালামাল সাপ্লাই দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর
থেকে আর মালামাল নেননি। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, দাতা সংস্থা
এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (প্রকল্প) এর টাকায় ব্যয় মিটানোর জন্য ওই সকল টেন্ডার
আহবান করা হয়। ঠিকাদার আহসানুল হক বলেন, সাপ্লাই কাজের চিঠি গ্রহনের
পর চাহিদা মত মালামাল সরবরাহ করার জন্য বেশ কিছুদিন পর শেরপুর পৌরসভার মেয়র
সহ পৌরসচিব ইমরোজ মুজিব এবং হিসাব রক্ষক মো.রেজাউল করিম এর কাছ
থেকে জানা যায়, উল্লেখিত কাজের মালামালের বিল ভাউচার দেয়া হয়েছে। হিসাব
রক্ষক আরো জানায়, সংশ্লিষ্ট কাজের নির্দিষ্ট ওই ঠিকাদারের নামে ৩লাখ ৯০হাজার
৪৯৫.৬৬টাকা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ঠিকাদার আহসানুল হক জানায়,
উল্লেখিত কাজের জন্য পৌরসভা তহবিলে তার জামানত জমা আছে। তিনি
কখনোই মালামাল সরবরাহ করেন নাই বা বিল ভাউচার নেন নাই। সেখানে মালামাল
ছাড়াই ভূয়া বিল-ভাউচার জমা দিয়ে ওই পরিমান টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঠিকাদার আহসানুল হক তার অভিযোগের অনুলিপি সচিব,
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী, শেরপুরের ইউএনও এবং সদ্য
বিদায়ী সাবেক মেয়রকে দেয়া হয়েছে। তিনি আবেদনে সরকারের টাকা
আত্মসাত করার বিচার দাবী করেছেন। এব্যাপারে শেরপুর পৌরসভার সচিব ইমরোজ
মুজিব জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। টেন্ডার ও মালামাল গ্রহনের
বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের এবং ষ্টোর রক্ষকের। তবে এডিপি প্রকল্প থেকে উক্ত

কাজের বিল দেয়া হয়েছে। একই মন্তব্য করেন, পৌরসভার হিসাব রক্ষক মো. রেজাউল
করিম।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ